কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

  ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৯

১৬ বছর পতাকা বিক্রি করে চলে শফিকের সংসার

শফিক মিয়ার বয়স ৫০ পেরিয়েছে। বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার গায়েনগঞ্জ ইউনিয়নের প্রত্যন্ত পাড়াগাঁওয়ে। গাজীপুরে জেলার কালীগঞ্জের অলিগলিতে তার বিচরণ। অভাব-অনটনের সংসার। কিন্তু দেশের প্রতি রয়েছে তার অগাধ ভালোবাসা। তিনি গত ১৬ বছর ধরে তার সংসার চলে জাতীয় পতাকা বিক্রি করে।

তার সংসারে দুই ছেলে। বড় ছেলে মোখলেস (২৪) একটি গার্মেন্টে চাকরি করেন। আর ছোট ছেলে মমিনুল (৭) পড়ছে প্রাথমিকে। অভাবে শফিক বেশি দূর লেখাপড়া করতে পারেননি। তবে ইচ্ছা আছে ছোট ছেলে মমিনুলকে উচ্চ শিক্ষিত করার।

শফিকের কাছে আছে বিভিন্ন সাইজের বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সাইজ ভেদে দামেও ভিন্নতা রয়েছে। শুধু জাতীয় পতাকা নয়। তার কাছে আছে জাতীয় পতাকার রঙের মাথায় বাঁধার বেল্ড, আছে ব্রেসলেট, ছোট হাতের জাতীয় পতাকা, কাগজের পতাকা, গালে ও কপালে পড়ার স্টিকার। তার কাছে যাই থাকুক, সবই লাল-সবুজের রং কেন্দ্রিক।

এ ব্যাপারে শফিক মিয়া বলেন, বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের সে সময়ের সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে এক করেছিলেন। ডাক দিয়ে ছিলেন স্বাধীনতার যুদ্ধের। জাতীর পিতার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই আমি জাতীয় পতাকা বিক্রি করি। সারা বছর এ ব্যবসা খুব একটা ভালো থাকে না। তবে বিজয়ের মাসে তার অনেক গ্রাহক জুটে যায়। কোমলমতি শিশুরা বাংলাদেশর পতাকার রঙের রঞ্জিত লাল-সবুজ কেন্দ্রিক সামগ্রীর প্রতি আগ্রহ তার খুব ভালো লাগে বলে জানান তিনি। শফিক মিয়া আরো বলেন, ছোট ছিলাম বলে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে পারিনি। কিন্তু যখন কাধে করে একগুচ্ছ জাতীয় পতাকা নিয়ে গ্রামের অলিগলি মেঠো পথ ধরে হাঁটি, মনে হয় আমি যেন বঙ্গবন্ধুর মুক্তির বার্তা নিয়ে হাঁটছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close