ক্যাসিনো-কান্ডে রাজধানীর ১৫টি ক্লাবের নাম ওঠে এসেছে। এদের মধ্য থেকে সমাজসেবা অধিদফতরে নিবন্ধিত কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও বনানী ক্লাবের নিবন্ধন বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ব্যাপারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে ঢাকা সমাজসেবা কার্যালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কমিটি বৈঠকের কার্যপত্রে গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে ১৫টি ক্লাবের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো-কান্ডে ‘জড়িত’ থাকার অভিযোগ এসেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্য ক্লাবগুলো হলোÑ ফুলবাগান ক্লাব (মিরপুর), চলন্তিকা ক্লাব (মিরপুর), আরামবাগ ক্রীড়াচক্র, ইয়ং ম্যানস (ফকিরাপুল), মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাব, আরামবাগ ক্লাব, দিলকুশা ক্লাব, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়াচক্র, ঢাকা ওয়ান্ডারস ক্লাব, বনানী গোল্ডেন ক্লাব, ঢাকা ক্লাব ও দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব। এই ১৩টি ক্লাব সমাজসেবা কার্যালয়ে নিবন্ধিত নয়। কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ও বনানী ক্লাব দুটি নিবন্ধিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গত ৯ নভেম্বর সমাজসেবা অধিদফতর থেকে সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালককে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। বৈঠকে কমিটির সদস্য বেগম সাগুফতা ইয়াসমিন, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আ ক ম সরওয়ার জাহান ও কাজী কানিজ সুলতানা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ ॥ সংসদীয় কমিটির বৈঠকে সাভারের রামচন্দ্রপুর ও বারেইগ্রাম মৌজার ১২ একর জমির ওপর প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক মানের প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে কমিটির পক্ষ থেকে প্রতিবন্ধী ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণের কাজ দ্রুত শুরু ও মন্ত্রণালয়কে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার সুপারিশ করা হয়।

এ সময় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে ওই ক্রীড়া কমপ্লেক্সের নকশা অনুমোদন করেছেন। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৪৯ কোটি ৯৬ লাখ ৩২ হাজার টাকা ধরা হয়েছে। ক্রীড়া কমপ্লেক্সে দুটি বেসমেন্টসহ ১১ তলা একাডেমিক ভবন, ডরমেটরি, আবাসিক ভবন, জিমনেশিয়াম, সুইমিং পুল, মসজিদ, ফুটবল মাঠ, গ্যালারি, ক্রিকেট মাঠ, গ্যালারি ও অভ্যন্তরীণ রাস্তা থাকবে।

বৈঠকে প্রকৃত বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তাকে চিহ্নিত করতে স্থানীয় মেম্বর, চেয়ারম্যান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের পাশাপাশি সংরক্ষিত মহিলা ও নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের সমন্বয়ে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের পরামর্শ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইউনিয়ন সমাজকর্মী নিয়োগ পরীক্ষা দ্রুত গ্রহণের মাধ্যমে বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।

"