সংসদ প্রতিবেদক

  ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯

তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে দায়িত্বশীল হতে হবে : স্পিকার

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বল্প সময়ের পথচলায় তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আমাদের ব্যাপক অর্জন ও সফলতা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন সমগ্র বিশ্বের কাছে উন্নয়নের দিক থেকে বিস্ময়। এই উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ব্যাপক ও ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখছে। তবে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি এড়াতে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের আরো দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা সংলগ্ন মানিক মিয়া এভিনিউতে ‘তৃতীয় ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের সহযোগিতায় আয়োজিত র‌্যালির উদ্বোধন করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ প্রমুখ।

আলোচনায় স্পিকার বলেন, এমন আয়োজন টেকসই ও প্রযুক্তিনির্ভর বাংলাদেশ নির্মাণে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবে। আজকের প্রতিপাদ্য ‘সত্য-মিথ্যা যাচাই আগে, ইন্টারনেটে শেয়ার পরে’ আমাদের সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। তিনি আরো বলেন, যেকোনো কিছু ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে। কোনো লেখা বা পোস্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় পরিবেশনের কোনো অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা বা অস্থিতিশীলতা যেন সৃষ্টি না হয় সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। কোনো তথ্য সত্যতা যাচাইয়ের মাধ্যমে পরিবেশন করতে হবে।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ পরিকল্পনার মাধ্যমে সরকারি ও বেসরকারি খাতে আধুনিকায়ন, সারা দেশে ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল ফোনের যুগান্তকারী ব্যবহার, আইটি পণ্য উৎপাদন ও রফতানি, জাতীয় শিক্ষাক্রমে আইসিটি শিক্ষা সংযোজন, আইসিটি প্রশিক্ষণসহ ব্যাপক কর্মসূচি সারা বাংলাদেশে পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ মহাকাশে সফলভাবে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপনে সক্ষম হয়েছে। শ্রমশক্তির জন্য সুযোগ ও কর্মসংস্থান তৈরিতে আইসিটি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। প্রযুক্তিনির্ভর শ্রমশক্তি তৈরিতে নানা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তরুণশক্তিকে কাজে লাগানোর কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে। নাগরিকদের কাছে ডিজিটাল সেবা প্রদান ও তাদের কাছে সব রকম সুবিধা এখন শুধু শহরভিত্তিক নয়, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী গ্রামে শহরের সব সুবিধা প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে দিতে সহযোগী ও সহায়ক হিসেবে ৫ হাজারের অধিক ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে মানুষ তথ্যপ্রযুক্তির সব সেবা গ্রহণ করছে।

অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছিলেন তখন ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৫৬ লাখ। আর মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষের ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রী তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শে মাত্র ১১ বছরের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশে ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী এবং ৯৫ ভাগ মানুষের ঘর বিদ্যুতায়িত। এখন সারা দেশে ৫ হাজার ৮৬৫টি ডিজিটাল সেন্টারে প্রতিদিন ৬৯ লাখ মানুষ ১৫০ রকমের সেবা গ্রহণ করছে। ফলে সময় ও অর্থ অপচয় রোধ হয়েছে ও হয়রানি দুর্নীতি কমেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close