চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১৯ নভেম্বর, ২০১৯

চট্টগ্রামে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণ : তদন্ত কমিটির কাজ শুরু

নগরীর পাথরঘাটার ব্রিকফিল্ড রোডে গত রোববারের বিস্ফোরণে সাতজন নিহতসহ হতাহতের ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে কমিটি। জেলা প্রশাসন ও নগর পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ জেড এম শরিফ হোসেনকে প্রধান করে ফায়ার সার্ভিস, সিটি করপোরেশন, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (কেজিডিসিএল), সিডিএ ও পুলিশের একজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছেন। সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

গতকাল সোমবার সকালে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে গঠিত আরেকটি তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছে। এ সময় ৩৪ নম্বর পাথরঘাটা ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল বালি, কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মহসীনসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। কমিটির প্রতিবেদনে যদি কারো অপরাধ প্রমাণিত হয় তবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক পূর্ণচন্দ্র মুৎসুদ্দী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের নিচতলায় সীমানা প্রাচীরের সঙ্গেই ছিল গ্যাস রাইজার। বিস্ফোরণ হয়েছে নিচতলাতেই। ক্ষতিগ্রস্ত ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে। বিস্ফোরক অধিদফতরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ওই ভবনের রাইজার ও পাইপলাইন অনেক পুরোনো। অরক্ষিত ছিল। পাইপলাইনের ফুটো দিয়ে গ্যাস বের হয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আমরা ধারণা করছি।

নগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের উপকমিশনার (ডিসি) মেহেদী হাসান, নগর বিশেষ শাখার অতিরিক্ত উপকমিশনার মঞ্জুর মোরশেদ ও কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার নোবেল চাকমা, কেজিডিসিএলের মহাব্যবস্থাপক (ইঞ্জিনিয়ারিং ও সার্ভিসেস) প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন, উপমহাব্যবস্থাপক (কোয়ালিটি কন্ট্রোল) প্রকৌশলী আহসান হাবিব, উপমহাব্যবস্থাপক (বিক্রয়) প্রকৌশলী আবু জাহের উপমহাব্যবস্থাপক (প্ল্যানিং) প্রকৌশলী শফিউল আলমসহ সংশ্লিষ্টরা এ ঘটনা তদন্ত করছেন। তবে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্র্রিবিউশন কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক খায়েজ আহমদ মজুমদার বলেন, গ্যাস লাইনের ত্রুটি থেকে বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। স্যুয়েরেজ সিস্টেম থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮ জন। এদের মধ্যে তিনজন আইসিইউতে রয়েছেন তাদের অবস্থা সংকটাপন্ন। গত রোববার গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের পর নিহত ৬ জনের পরিচয় পাওয়া গেলেও বাকি একজনের পরিচয় খোঁজ করছিল পুলিশ। অবশেষে সেই লাশ ঘরে পড়ে থাকা লোকটির পরিচয় মিলেছে। তার নাম মাহমুদুল হক (৩০)। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার পদুয়ায় তেইল্যাকাটা সেনেরচরে তার বাড়ি। তার বাবার নাম আবুল কাশেম ও মায়ের নাম মমতাজ বেগম। তিনি নগরের বাকলিয়ার বেলাল কলোনিতে ভাড়া থাকতেন বলে জানা গেছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close