সংসদ প্রতিবেদক

  ১৮ নভেম্বর, ২০১৯

স্বচ্ছতা নিশ্চিতে সততার বিকল্প নেই : স্পিকার

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সরকারি কাজে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজ ও অর্থ ব্যয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। এ কাজে সততা ও দায়িত্বশীলতার বিকল্প নেই। আমলাদের প্রকল্পসহ সব ক্ষেত্রে সরকারি অর্থ ব্যয় করাতে সতর্ক ও অধিক সচেতন হওয়া দরকার। যার মাধ্যমে সরকারের নেওয়া গৃহীত প্রকল্পের ব্যয় কমবে এবং উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি অর্জন বাড়বে।

রাজধানীর স্থানীয় এক হোটেলে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ আয়োজিত ‘প্রমোটিং অ্যাকাউন্টেবিলিটি অ্যান্ড ইন্টেগ্রেটি ইন গভর্নমেন্ট স্পেন্ডিং’ শীর্ষক সাউথ এশিয়া অ্যাকাউন্টেবেলিটি সম্পর্কিত গোলটেবিল আলোচনায় গতকাল রোবাবার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

স্পিকার বলেন, বাংলাদেশের সরকারি ব্যয়ের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, দায়িত্বশীলতা ও সততা নিশ্চিত করতে জাতীয় সংসদের সরকারি হিসাব সম্পর্কিত কমিটি (পিএ) এবং বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রকের অফিস কাজ করছে। জাতীয় সংসদের পিএ কমিটি সরকারের কার্যক্রম তদারকি করে এবং সরকারি ব্যয় সম্পর্কিত সিএজি রিপোর্ট পরীক্ষা করেন। সেখানে নিশ্চিত করা হয় সরকারি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি। এখানে সংসদীয় কমিটির সুপারিশগুলো কার্যকরী ভূমিকা রেখে থাকে।

শিক্ষাজীবনে সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়া এই আলোকিত নারী স্পিকার আরো বলেন, সংসদীয় পিএ কমিটি, সিএজি, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে আরো শক্তিশালী করা হলে সরকারি অর্থের অপচয় অনেকাংশে কমে আসবে।

সরকারি অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে আমলাদের স্বচ্ছতা ও দায়িত্বশীলতা নিশ্চিত করতে আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনসহ দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ এবং সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বিশেষজ্ঞদের মতবিনিময়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

স্পিকার বলেন, সরকারি অর্থের অপব্যবহার আশঙ্কাজনক পর্যায়ে পৌঁছালে তার প্রভাব পড়ে প্রশাসন, রাজনীতি ও সমাজব্যবস্থার ওপরে। ক্রমান্বয়ে কমে আসে এ সংশ্লিষ্টদের জবাবদিহি ও দায়িত্বশীলতা। ফলে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা নষ্ট হয়ে যায়। এতে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে যায়, দেখা যায় বাজেট ঘাটতি। তাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজে স্বচ্ছতার প্রতিফলন ঘটাতে সততা ও দায়িত্বশীলতার বিকল্প নেই।

স্পিকার ছাড়াও অনুষ্ঠানে সরকারি হিসাব সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. রুস্তুম আলী ফরাজী, অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি মো. আবদুস শহীদ প্রমুখ এমপি অংশ নেন। উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, দুদকের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এবং ভারতের সিএজি ও ডিরেক্টর জেনারেল সুনীল শ্রীকৃষ্ণ। গোলটেবিল বৈঠকে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর ডানডান চেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close