ফরিদপুর প্রতিনিধি

  ১৬ নভেম্বর, ২০১৯

হাজি শরীয়তুল্লাহ বাজার

সাবেক সভাপতির বিরুদ্ধে এন্তার অভিযোগ

ফরিদপুরের হাজি শরীয়তুল্লাহ বাজার। এ বাজারে ২ হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বৃহত্তর ফরিদপুরের বড় ব্যবসাকেন্দ্র এটি। এ বাজারে তারা নানা প্রকার ব্যবসা করে আসছিলেন। সম্প্রতি হামলা ও মামলার কারণে ব্যবসায়ীরা চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন পার করছেন। ঘটনার জন্য এক পক্ষ অন্য পক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। তবে যাকে জড়িয়ে এ বাজারে এখন অশান্তির অভিযোগ সেই ব্যবসায়ী ও বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান পিকু বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করা হচ্ছে। আমি কারো টাকা আত্মসাৎ করিনি। এ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান পিকুর বিরুদ্ধে বিপুল অঙ্কের অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। বিভিন্ন সময় বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালনকালে বাজার উন্নয়ন তহবিল থেকে বিভিন্ন কৌশলে ৩৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। বাজারের ব্যবসায়ীদের নতুন দোকান ঘর দেওয়ার কথা বলে ৫৫ লাখ টাকা এবং হাট-বাজারের ইজারার টাকা থেকে চার বছরে ৭৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ছাড়া যৌথ ব্যবসায়ীপ্রতিষ্ঠান নূর ভান্ডার ফলের আড়ত থেকে বিভিন্ন সময়ে জালিয়াতির মাধ্যমে ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৯ হাজার ৭২৪ টাকা ব্যবসায়িক পার্টনার মো. নূর ইসলাম মোল্লাকে ঠকিয়ে আত্মসাৎ করেছে।

ফরিদপুর হাজি শরীয়তুল্লাহ বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও নূর ভান্ডার ফলের আড়তের স্বত্বাধিকারী মো. নূর ইসলাম মোল্লা বলেন, সাবেক সভাপতি পিকু বিভিন্ন সময় সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছে। আর সভাপতি থাকা অবস্থায় বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ী, মদের দোকান, নিজস্ব আবাসিক হোটেলে নারীদের রেখে ব্যবসা ও জুয়ার আসর থেকে, বাজারের দোকান ক্রয়-বিক্রয়সহ বাজারের বিভিন্ন খাত থেকে কৌশলে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিভিন্ন সময়ে বাজারের হিসাব চাওয়া হলেও সে বাজার কমিটির কাছে হিসাব দেননি। পিকুর অপকর্মের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবসায়ী কথা বললেই নির্যাতনের স্বীকার হতেন। তার অপকর্ম সইতে না পেরে চলতি বছরের ২৩ জুন বাজার কমিটির সবাই একজোট হয়ে মিটিং করে পিকুকে সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। সভাপতি পদ হারিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে পিকু। বিভিন্ন সময় বাজারের ব্যবসায়ীদের হুমকি দিতে থাকেন।

পরবর্তী সময়ে গত ২৮ সেপ্টেম্বর নূর ভান্ডার ফলের আড়ত হিসাব নিয়ে শহরের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও বাজারের ব্যবসায়ী, চারজন ক্যাশিয়ারসহ হিসাব-নিকাশ করে দেখা যায় ব্যবসায়ী মো. হাবিবুর রহমান পিকুর কাছে ১ কোটি ৫১ লাখ ৮৯ হাজার ৭২৪ টাকা পায় নূর ভান্ডার। হিসাব দেখেই পিকু ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বাজার কমিটির সাবেক সহসভাপতি এম এম মুসাসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

বাজারের চাল ব্যবসায়ী মো. সাইদুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, সাবেক সভাপতি পিকু বাজারে নতুন দোকান ঘর করে দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১০ লাখ ৫০ টাকা নিয়েছে। কিন্তু এখনো আমার টাকা ফেরত দেয়নি। সাবেক সভাপতি পিকু আমার কাছ থেকে শুধু টাকা নেয়নি, বাজারের অনেকের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। আমরা চাই উপজেলা প্রশাসন সঠিক তদন্ত করে টাকা আত্মসাৎকারী পিকুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিক।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close