প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৬ নভেম্বর, ২০১৯

৯ বছর বয়সেই গ্র্যাজুয়েট!

‘প্রডিজি’ শব্দটির সঙ্গে আমরা কমবেশি পরিচিত। মানুষের ক্ষেত্রে বিশেষ গুণ বা মেধার অধিকারী বিস্ময়কর কাউকে বোঝাতেই এ শব্দটি ব্যবহার করা হয়। বেলজিয়ামের এমনই এক বিস্ময় বালক মাত্র ৯ বছর বয়সে ইলেকট্র্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক সম্পন্ন করে বিশ্ববাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এ বিস্ময় বালকের নাম লরেন্ট সিমন্স। বিশ্বের প্রথম সারিতে থাকা নেদারল্যান্ডসের এইনদোফেন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (টিইউই) থেকে এ ডিগ্রি দেওয়া হয় লরেন্টকে। বর্তমানে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ইলেকট্র্রিক্যাল বিভাগ থেকেই পিএইচডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন লরেন্ট। তবে তার আগে মেডিসিন বিভাগেও পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক তিনি। একইসঙ্গে বিপরীতধর্মী দুটি বিষয়ে তার প্রখর মেধা ও পারদর্শিতা নজর কেড়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের।

সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনে এক সাক্ষাৎকারে লরেন্টের প্রতিভা নিয়ে কথা বলেন তার বাবা আলেকজান্ডার সিমন্স। লরেন্টেকে গণমাধ্যমের সামনে আনতে আপত্তি রয়েছে তাদের। পরে প্রতিবেদকের অত্যধিক আগ্রহের কারণে তারা শিশুটির সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে সম্মতি দেন। সিএনএনকে লরেন্ট জানান, যে কোনো কিছু খুব সহজেই আয়ত্ত করে নিতে পারে তিনি। ভালো লাগে নতুন বিষয়ে পড়াশোনা করতে। ইলেকট্র্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে পড়াশোনা করলেও কিছুদিন মেডিসিন বিষয়ে জ্ঞানার্জনের ইচ্ছা রয়েছে তার।

লরেন্টের পছন্দের বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, ভবিষ্যতে মানবদেহে কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন বিষয়ে গবেষণায় আগ্রহী তিনি। মেধাবি শিশুর ব্যাপারে টিইউইর প্রফেসর ও গবেষক সুজর্ড হালশফ বলেন, লরেন্ট অসম্ভব প্রতিভাবান এতে কোনো সন্দেহ নেই। তার উদ্ভাবনী চিন্তাধারা ও প্রখর মেধা নিয়ে আমি বিস্মিত। যে গবেষণা প্রতিবেদন দিয়ে তিনি স্নাতক পাস করেছেন, সে বিষয়ে অনেকেই প্রথম চেষ্টায় এতো ভালো ফল করতে পারেন না। লরেন্টের মা লিডিয়া সিমন্স জানান, ‘খুব ছোট বয়সেই লরেন্টের প্রতিভার বিষয়টি চোখে পড়ে তার দাদুর। কথা বলতে শেখার পরপরই যে কোনো কিছু অতি দ্রুত শিখে ফেলতে পারতো সে। এ নিয়ে রীতিমত উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছিলেন তারা।’

বাবা আলেকজান্ডার বলেন, ‘বেশ কয়েক বছর আগে আমাদের অজানা অনেক বিষয়েই বিস্তারিত আলোচনা ও পর্যবেক্ষণ দিতে শুরু করে লরেন্ট। আমরা ওর এ অবস্থা দেখে ভয়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। পরবর্তী সময়ে বুঝতে পারি যে, ও আসলে একটা প্রডিজি।’ লরেন্টের বাবা-মা জানান, ওকে কখনো কিছু নিয়ে মানসিক চাপ না দেওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাড়াতাড়ি সবকিছু আয়ত্ত করে নেওয়ার বিষয়টি বাদ দিলে সে অন্য শিশুদের মতোই খেলতে ভালোবাসে। তার পছন্দের কুকুরছানা নিয়ে ব্যস্ত থাকে সারা দিন। ভালোবাসে চকোলেট ও আইসক্রিম খেতে। পাশাপাশি নতুন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে খুবই ভালোবাসে লরেন্ট। কিছুদিনের মধ্যেই জাপান ঘুরতে যাওয়ার কথা তার। সেখানে অবকাশ যাপনের পর আবারও পড়াশোনায় মনোনিবেশ করার ইচ্ছা লরেন্ট সিমন্সের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close