আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৪ নভেম্বর, ২০১৯

পরীক্ষার টেনশন কমাতে কবরে শুয়ে থাকা!

মানসিক চাপ আমাদের জীবনে বিষিয়ে তোলে। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে আমরা একেকজন একেক পন্থা অবলম্বন করি। কেউ বেড়াতে যাই, কেউ যোগ-ব্যায়াম, করি আবার কেউবা শরণাপন্ন হই চিকিৎসকের। তবে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে শিক্ষার্থীদের অভিনব পরামর্শ দিয়েছে নেদারল্যান্ডসের র?্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয়। নিজমেগেন শহরের এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ কমাতে শিক্ষার্থীদের কবরে শুয়ে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মিরর বলছে, পরীক্ষা সামনে এলে শিক্ষার্থীরা প্রচ- ধরনের মানসিক চাপে থাকেন। তাদের এ চাপ থেকে মুক্তি দেবে এই পদ্ধতি। এটা পরীক্ষার চাপসহ সব ধরনের মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করবে। এ জন্য অভিনব এই ‘গ্রেভ থিওরি’ বেছে নিয়েছে র?্যাডবউড বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

মানসিক চাপ কমানোর এই পদ্ধতিতে কবরের মতো বড় গর্তে শুয়ে থাকতে হয় শিক্ষার্থীদের। একজন শিক্ষার্থী সর্বনিম্ন ৩০ মিনিট থেকে সর্বোচ্চ তিন ঘণ্টা পর্যন্ত সময় কাটাতে পারবেন এ কবরে। তবে শর্ত হলোÑ শুধু একটি মাদুর আর একটি বালিশ নিয়ে সেখানে যাওয়া যাবে। নেওয়া যাবে না মোবাইল ফোন কিংবা অন্য কোনো ব্যক্তিগত জিনিসপত্র।

অভিনব এই পদ্ধতি শিক্ষার্থীদের মধ্যে দারুণ সাড়া ফেলেছে। বিষয়টা এত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, শুদ্ধীকরণের এই কবরে থাকতে শিক্ষার্থীদের রীতিমতো সিরিয়াল দিতে হচ্ছে। সেন ম্যাকলগলিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমি ও আমার রুমমেট চেয়েছিলাম ওই কবরে এক সপ্তাহ আগে থাকতে। সিরিয়াল দিতে গিয়ে দেখি সেখানে ইতোমধ্যে অপেক্ষমানদের একটি তালিকা রয়েছে। তো এতেই বোঝা যায়, বিষয়টি কত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।’

প্রজেক্টটির উদ্যোক্তা জন হ্যাকিং এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জীবন শেষে মৃত্যু অনিবার্য। এই চিরন্তন সত্যটি ১৮, ১৯ ও ২০ বছর বয়সি শিক্ষার্থীদের বোঝানো খুবই কঠিন। কবর কিছুটা হলেও তাদের সময় সম্পর্কে ভাবতে সাহায্য করবে।’ কবরে ঢুকতেই চোখে পড়বে একটা বোর্ড। সেখানে লাতিন ভাষায় লেখা, ‘মোমেন্টো মরি।’ অর্থাৎ, ‘মনে রেখো, তুমি এক দিন মারা যাবে।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close