সংসদ প্রতিবেদক

  ১৩ নভেম্বর, ২০১৯

পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন

বাণিজ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ২৪ লাখ টন। গত বছর পেঁয়াজের উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৩০ লাখ টন। তবে এর মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগ সংরক্ষণকালীন ক্ষতি বাদ দিলে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১৬ দশমিক ৩১ লাখ টন। গতকাল মঙ্গলবার লক্ষ¥ীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, উৎপাদিত পেঁয়াজের চাহিদা মেটানের পক্ষে যথেষ্ট না হওয়ায় বিদেশ থেকেÑ বিশেষ করে পাশের দেশ ভারত থেকে প্রতি বছর নির্দিষ্ট পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের মহারাষ্ট্রে বন্যার পরিপ্রেক্ষিতে পেঁয়াজের ফলন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে তাদের অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের বাজার দর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে ভারত সরকার গত ১৩ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজের মিনিমাম রফতানি মূল্য টনপ্রতি ৮৫০ ডলার নির্ধারণ করেছে। আগে ভারত থেকে পেঁয়াজের রফতানি মূল্য যেখানে ২৫০ থেকে ৩০০ ডলার টনপ্রতি ছিল তা একলাফে ৮৫০ ডলারে দাঁড়ায়। ফলে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজার ঊর্ধ্বগতি দেখা দিয়েছে। উপরোক্ত ভারতের স্থানীয় বাজারে অস্বাভাবিক হারে পেঁয়াজের বাজার প্রেক্ষাপটে গত ২৯ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পেঁয়াজের রফতানি সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে। ফলে বাংলাদেেেশর বাজার ঊর্ধ্বগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

মন্ত্রী জানান, বিশে^র বাজারে রসুনের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় বাংলাদেশে প্রভাব পড়ে। ফলে রসুনের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। পণ্য দুটি ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আনার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন চারটি করে মোট ২৮টি টিম ঢাকা মহানগীরর বিভিন্ন বাজারে মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে নিয়োজিত রয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, বাজারে পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় টিসিবি ডিলারদের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে ঢাকা মহানগরীর ৩৫টি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close