নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৩ নভেম্বর, ২০১৯

বিএনপির অনেকেই আ.লীগে আসতে যোগাযোগ করছেন

তথ্যমন্ত্রী

বিএনপির অনেক নেতাই দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য বহু দিন ধরেই চিন্তা-ভাবনা করছেন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ করছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর কালকে বলেছেন বিএনপি হচ্ছে একটি বটগাছ। এই বটগাছের নিচে মানুষ আসবে এবং বিশ্রাম নিয়ে চলে যাবে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি থেকে যেভাবে তাদের সিনিয়র নেতারা দলত্যাগ করে চলে যাচ্ছেন, এই তালিকায় আরো বহুজন আছেন। সেগুলো ভবিষ্যতে বিএনপি দেখতে পাবে। এই পরিস্থিতিতে গয়েশ্বর নিজের হতাশা কাটানোর জন্য, আত্মতুষ্টির জন্য এই কথা বললেও তাদের আর তারা ঠেকাতে পারবে না।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, রাজনীতি হচ্ছে মানুষের জন্য, জনগণের কল্যাণের জন্য। কিন্তু তাদের রাজনীতি গত ১১ বছরে মানুষের কল্যাণে আবর্তিত হয়নি। তাদের রাজনীতি সব সময় আবর্তিত হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নির্বাচন কমিশন এবং খালেদা জিয়া, তারেক জিয়ার মামলা এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে। তারা এই বিষয়গুলো ফুটিয়ে তোলার জন্য যে জঘন্য পথ অবলম্বন করেছে, জনগণের ওপর আক্রমণ করা, পেট্রল বোমা হামলা চালানো, সে কারণে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ কারণে তাদের নেতারা দল ছেড়ে চলে যাচ্ছে।

‘বিদেশ থেকে যেভাবে দলকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়, তাদের দলের মধ্যে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র বলতে কোনো কিছু নেই, স্থায়ী কমিটির সদস্যরা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন না। সিদ্ধান্ত আসে তাদের দ্ব-প্রাপ্ত ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছ থেকে এবং সেগুলো অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত।’

বিএনপির কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছে কি না প্রশ্নে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির অনেক নেতাই দল ছেড়ে যাওয়ার জন্য বহু দিন ধরেই চিন্তা ভাবনা করছেন এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ে যে যোগাযোগ করছেন না তা নয়। আওয়ামী লীগ কিন্তু যাকে তাকে দলে নেওয়ার জন্য বসে রয়নি। আওয়ামী লীগ একটি সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জনগণের মধ্য থেকে উঠে আসা দল। আওয়ামী লীগে যোগদান করতে চাইলেই সবাইকে নেওয়া সম্ভবপর নয়। ‘তাদের দল থেকেই অনেকেই দল ত্যাগ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছেন, মাত্র শুরু হলো ভবিষ্যতে বিএনপি আরো দেখতে পাবে।’

মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে মামলা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, গাম্বিয়া যে মামলাটি করেছে সেটি ওআইসির সিদ্ধান্তে করেছে। এই মামলার বিষয়টি ওআইসিভুক্ত ৫৬টি দেশের রেজ্যুলেশনে সংযুক্ত রয়েছে। ‘যখন মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের বিতাড়ন করা হচ্ছিল, তাদের ওপর নির্যাতন চালানো শুরু হয়েছিল, মানবতার বিরুদ্ধে যে অপরাধ সংঘটিত হওয়া শুরু হয়েছিল তখন ওআইসি মিটিং ডাকেনি। এরপর বাংলাদেশের উদ্যোগের পর মিটিং ডাকে।’

মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রকৃতপক্ষে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ আরো বাড়বে এবং দ্রুত রোহিঙ্গাদের তাদের দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close