নিজস্ব প্রতিবেদক
রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতায় ট্রাভেল মালিক আটক
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিকদের বাংলাদেশি জন্মসনদ ও পাসপোর্ট তৈরি করে দেওয়ার খবর পেয়ে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় একটি ট্রাভেল এজেন্সির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে র্যাব। অভিযানে আতিকুর রহমান (৫২) নামের একজনকে আটক করা হয়। জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অর্থ, জমিজমা ও অর্থ পাচারের কাগজপত্র। গতকাল সোমবার বিকালে র্যাব-২ এর একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করে।
আতিকুর রহমান আজিজিয়া ইন্টারন্যাশনাল ট্রাভেল এজেন্সি নামের ওই ট্রাভেল এজেন্সির মালিক। তার কাছ থেকে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকে ৪ লাখ ২৭ হাজার ডলার, সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে ৬০ হাজার ডলার এবং ইসলামী ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার স্থায়ী আমানতের তথ্য পেয়েছে র্যাব। এ ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ায় একটি বাড়ি এবং স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ৭০ লাখ টাকা রয়েছে বলে র্যাবের কাছে স্বীকার করেছেন আতিকুর রহমান।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বাসাবোর একটি বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, নগদ টাকা এবং পাসপোর্ট তৈরিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাংকে ৪ লাখ ২৭ হাজার ডলার, সিঙ্গাপুরের ব্যাংকে ৬০ হাজার ডলার এবং ইসলামী ব্যাংকে ৫০ লাখ টাকার এফডিআর ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ৭০ লাখ টাকা থাকার কথা জানিয়েছে আটক আতিক। অস্ট্রেলিয়ায় তার একটি বাড়ি থাকার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, গত ১১ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ থেকে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরির জন্য জন্মসনদ ও ভোটার আইডি কার্ড করে দেওয়া চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের দেওয়া তথ্য থেকে জানা যায়, এই চক্রের হোতা আতিকুর রহমান। তিনি আজিজিয়া ট্রাভেলিং ইন্টারন্যাশনালের মালিক। বাসাবোর নাভানা টাওয়ারে তার অফিস অবস্থিত। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই-বাছাই করে নাভানা টাওয়ারে অভিযান শুরু করেছি।
পুলিশ সুপার আরো বলেন, নাভানা টাওয়ারের ওই অফিসে রোহিঙ্গাদের নামে তৈরি করা বিপুল পরিমাণ জাল পাসপোর্ট ও ভুয়া ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া গেছে। আতিকুর রহমানের ইসলামী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে ৭০ লাখ টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। একই ব্যাংকে আরো ৫০ লাখ টাকার এফডিআরের কাগজপত্র পাওয়া গেছে। অস্ট্রেলিয়ায় তার একটি বিলাসবহুল বাড়ি আছে, যার দলিল পাওয়া গেছে।
"