আদালত প্রতিবেদক

  ২৪ অক্টোবর, ২০১৯

বাবা-ছেলে হত্যায় ৭ দিনের রিমান্ডে ক্যাসিনো খালেদ

ক্যাসিনো-কা-ে গ্রেফতার যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে পাঁচ বছর আগের খুনের এক হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এই সাত দিন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তাদের হেফাজতে রেখে খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মীনা মাহমুদা রাজধানীর খিলগাঁওয়ের বাবা-ছেলে হত্যা মামলায় খালেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার জন্য আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগেও কয়েক দফা রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে খালেদকে। ২৮ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছিলেন আদালত। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মতিঝিলের ফকিরাপুল ইয়ংমেন্স ক্লাবে র‌্যাবের অভিযানে ক্যাসিনো ধরা পড়ার পর তা পরিচালনায় জড়িত খালেদকে ওই দিনই গ্রেফতার করা হয়। খালেদ ছিলেন যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক। গ্রেফতার হওয়ার পর তাকে বহিষ্কার করে সংগঠনটি। গ্রেফতারের পর খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে তিনটি মামলা হয়; ওইসব মামলায় তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছিল পুলিশ। এরপর বুধবার তাকে খিলগাঁও থানার পুরোনো হত্যা মামলাটিতে গ্রেফতার দেখানোর আবেদনসহ ১০ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়ে ঢাকার হাকিম আদালতে নিয়ে যান ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিনা মাহমুদা।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারাবাগের আনোয়ার হোসেনের বাড়ির গেটের সামনে ইসরাইল হোসেন এবং তার ছেলে শরীফ হোসেন সায়মনকে গুলি করে ৩৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। গুলিবিদ্ধ সায়মন ঘটনাস্থলে মারা যান এবং তার বাবা ইসরাইল চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বছর পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল মারা যান।

খিলগাঁওয়ের বাসিন্দা ইসরাইল তার প্রতিষ্ঠান ‘রাজধানী মানি এক্সচেঞ্জ’ থেকে দিনের লেনদেন শেষ করে ৩৮ লাখ টাকা ব্যাগে করে প্রাইভেট কারে বাসায় ফিরছিলেন। পথে তারা হামলার মুখে পড়েন। ঘটনায় পরদিন ইসরাইলের বড় ভাই মজিবুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৩-৪ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় ২০১৬ সালে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। তবে আদালত ওই প্রতিবেদন গ্রহণ না করে পিবিআইকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন।

পিবিআইর রিমান্ড আবেদনে এই হত্যাকা-ের মূল আসামিদের খুঁজে বের করার জন্য খালেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজন বলে উল্লেখ করা হয়। খালেদ কীভাবে এই হত্যাকা-ে সম্পৃক্ত, তা পিবিআইয়ের আবেদনে স্পষ্ট হয়নি।

খালেদের বেড়ে ওঠা খিলগাঁওয়ের পাশের শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনিতে। তার বিরুদ্ধে অপরাধকর্মের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের। তিনি একসময় যুবদলে যুক্ত ছিলেন, ২০১৩ সালে তিনি যুবলীগের কমিটিতে আসেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close