জয়পুরহাট প্রতিনিধি
জয়পুরহাটে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা
প্রতিটি পরিবারে শীত মোকাবিলায় লেপ-তোশকের চাহিদা বেড়ে যায়। দিনে কিছুটা গরম থাকলেও রাতে ঠা-া ভাব পড়ছে। আসি আসি করছে শীত। এতেই জয়পুরহাটের লেপ-তোশক বানানোর কারিগররা বর্তমানে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন তা তৈরিতে।
উত্তরাঞ্চলের ছোট জেলা জয়পুরহাট। শীত মৌসুমে এ অঞ্চলে তুলনামূলক শীতের প্রভাব বেশি থাকে। শীত মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক বানানোর কাজ শুরু হয় সেপ্টম্বর-অক্টোবর থেকেই। জয়পুরহাট শহরের রেলপট্টিতে গড়ে ওঠা লেপ-তোশক বানানোর পল্লীতে ২২-২৩ জন কারিগর রয়েছেন। যারা মালিকদের লেপ-তোশক তৈরির অর্ডার অনুযায়ী কাজ করে থাকেন। এতে লেপ-তোশক প্রতি মজুরি হিসেবে তাদের ভাগ্যে জোটে ছোট-বড় অনুযায়ী ২০০ থেকে ৩০০ টাকা। লেপ-তোশক বানানোর কারিগর রমযান আলী, আলম হোসন, হায়দার আলী, মনু মিয়া, মুরাদ হোসেন, সাব্বির হোসেন জানান, সাইজ অনুযায়ী ও প্রকারভেদে এবার লেপ-তোশক বানাতে খরচ পড়ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা পর্যন্ত। মজুরি, তুলাসহ লেপ-তোশক বানানোর কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় লেপ-তোশকের দাম গড়ে ১০০ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ আলী বেডিং স্টোরের মালিক আনিসুর রহমান। বর্তমান বাজারে গার্মেন্ট ঝুট দিয়ে তৈরি সিঙ্গেল তোশক ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা এবং ডবল তোশক সাইজ অনুযায়ী ৯০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত বছর শিমুল তুলা ছিল ৪০০ টাকা কেজি, এবার বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৫০০ টাকা। গার্মেন্ট ঝুট গত বছর ২৫-৩০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও এবার ৩৫-৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তোশক বিক্রেতা রমযান আলী। অন্যান্য তুলাও কেজিপ্রতি ১০-১৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান বিক্রেতারা।
"