প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

তৃষা, পান্না ও কনার মেধার কাছে হার মানল দরিদ্রতা

এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চান্স পেয়েছে হতদরিদ্র বাবার কন্যা তৃষা, পান্না ও কনা। তাদের দুজনের ভর্তির জন্য স্থানীয় প্রশাসন এগিয়ে এসেছে। তবে নিয়মিত টিউশন ফি-সহ লেখাপড়ার খরচ নিয়ে সবার পরিবার চিন্তিত। প্রতিনিধিদের পাঠানো রিপোর্টÑ

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি জানান, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাটুলীপাড়া গ্রামের দরিদ্র কৃষক মজিবর রহমানের মেয়ে তৃষা পারভীন রুসনা। সে দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে এবার হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। এ ব্যাপারে পত্রিকায় খবর প্রকাশের পর ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান গতকাল শুক্রবার তৃষা পারভীনের বাড়ি উপজেলার পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়াতে যান। সেখানে গিয়ে ফুলের তোড়া ও বই উপহার দেন তিনি।

সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, তৃষা শুধু পাটুলীপাড়ার নয়, সে উপজেলা গর্ব। তিনি তৃষা পারভীনের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি সমাজে বিত্তশালীদের তৃষাসহ এমন দরিদ্র মেধাবিদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

তৃষার দুই ভাই অর্থাভাবে পড়া লেখা করতে না পারলেও, বোনের পড়ার লেখার প্রতি উৎসাহ দিত। তৃষা পারভীনের বড় ভাই আলামিন বলেন, তৃষা আমাদের আদারের ছোট বোন। এবার সে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এতে আমরা একদিকে আনন্দিত অন্যদিকে ভর্তি বাবদ যে কত টাকা লাগবে, আর তার পড়ালেখার খরচের বিষয়টি আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি জানান, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের হতদরিদ্র রিকশাচালক দুলাল মিয়ার মেধাবী কন্যা পান্না এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু পান্নাকে মেডিকেলে ভর্তি করানো বা লেখাপড়া চালিয়ে নেওয়ার সামর্থ্য না থাকার বিষয়টি জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হলে মেডিকেল ভর্তির দায়িত্ব নেন জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান। কিন্তু এরপর কী হবে? কোথা থেকে মেডিকেলে নিয়মিত টিউশন ফি’সহ আনুষঙ্গিক ব্যয় বহন করবে, এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় সে ও তার পরিবার।

পান্না উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের রায়চোঁ গ্রামের মুন্সীবাড়ির মো. দুলাল মিয়া ও কোহিনুর দম্পতির ছোট মেয়ে। মা গৃহিণী। তিন বোনের মধ্যে পান্না ছোট। সে এসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়ার পর হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। হতদরিদ্র বাবার সঙ্গতির কথা জেনে ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাসুদ আহাম্মদ পান্নার ফি মওকুফ করে দেন। কলেজের পক্ষ থেকে পান্নাকে বিশ^বিদ্যালয়ে ভর্তির কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেন অধ্যক্ষ।

পান্নাকে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বিত্তবানদের কাছে আবেদন জানান স্থানীয়রা। এ বিষয়ে পান্না বলেন, হাজীগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা প্রশাসক স্যারের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি জানান, আমতলী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে দরিদ্র অটোরিকশা (স্থানীয় নাম আলফা) চালক কবির হোসেনের মেয়ে সামসুন নাহার কনা এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। মেধাবী কনা পিএসই ও জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পেয়েছিল। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

২৪ অক্টোবরের মধ্যে কনাকে ভর্তি করাতে হবে, দরকার হবে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে এতগুলো টাকা সংগ্রহ করা তার বাবার পক্ষে খুবই কষ্টকর। স্থানীয়রা বলছেন, কনা আমতলীর গৌরব। দেশ-বিদেশে আমতলীর যে যেখানে আছেন, তাদেরকে কনার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন তারা। বিকাশ নং ০১৩১৫৬১১৭৪৩।

ওকে///আমিন

সংযুক্তি : তৃষা পান্না

আমতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি জানান, আমতলী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে দরিদ্র অটোরিকশা (স্থানীয় নাম আলফা) চালক কবির হোসেনের মেয়ে সামসুন নাহার কনা এবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন। মেধাবী কনা পিএসই ও জেএসসিতে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিও পেয়েছিল। এসএসসি ও এইচএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়েছিল।

২৪ অক্টোবরের মধ্যে কনাকে ভর্তি করাতে হবে, দরকার হবে সব মিলিয়ে প্রায় ৪০ হাজার টাকা। স্বল্প সময়ে এতগুলো টাকা সংগ্রহ করা তার বাবার পক্ষে খুবই কষ্টকর। স্থানীয়রা বলছেন, কনা আমতলীর গৌরব। দেশ-বিদেশে আমতলীর যে যেখানে আছেন, তাদেরকে কনার পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করেছেন তারা। বিকাশ নং ০১৩১৫৬১১৭৪৩।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close