নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৯ অক্টোবর, ২০১৯

চিড়িয়াখানায় নতুন অতিথি

রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় জলহস্তী পরিবারে নতুন অতিথি যুক্ত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার শাবকটির জন্ম হয়। এ নিয়ে জাতীয় চিড়িয়াখানায় জলহস্তীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬টি। এরমধ্যে দুই জোড়া জলহস্তী স্থানান্তর করা হয়েছে গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে।

মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম নতুন অতিথি আসার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, চিড়িয়াখানার সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিকতা, কর্মনিষ্ঠতা, মনিটরিং ও সুপারভিশনসহ সামগ্রিক সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ফলে চিড়িয়াখানায় দিন দিন মূল্যবান ও অপ্রতুল প্রাণীর সংখ্যা বেড়ে চলছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় চিড়িয়াখানার সার্বিক পরিবেশ অনেক বেশি উন্নত বলেও জানান তিনি। মিরপুর জাতীয় চিড়িয়াখানায় জলহস্তী কবে আনা হয়েছিলÑ এ প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম জানান, এক জোড়া জলহস্তী এসেছিল আশির দশকে। বর্তমানে জলহস্তীর সংখ্যা ১৬। দুই জোড়া জলহস্তী গাজীপুরের সাফারি পার্কে বিতরণ করা হয়েছে। প্রাণীটি সম্পর্কে তিনি বলেন, জলহস্তী তৃতীয় বৃহত্তম স্তন্যপায়ী প্রাণী। এটি আফ্রিকার সাব-সাহারা এলাকায় পাওয়া যায়। ২০০৬ সালে আইইউসিএন জলহস্তীকে লাল তালিকাভুক্ত করে। এরা তৃণভোজী প্রাণী। এদের আয়ুষ্কাল ৪০ বছর। সাধারণত ছয় থেকে সাত বছর বয়সে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। সাত মাস পেটে ধারণ করার পর এরা একটি বাচ্চা দেয়। এদের শরীর থেকে রক্তের ন্যায় ঘাম বের হয়; যা ময়েশ্চারাইজার, সূর্যের আলো প্রতিরোধ করে এবং জীবাণু থেকে রক্ষা করে। এরা স্থলে ঘণ্টায় ৩০ কিলোমিটার বেগে দৌড়াতে পারে। এটাকে রিভার হর্স বলা হয়। দিনে জলে রাতে ডাঙায় থাকে। এরা খুবই হিংস্র প্রাণী। তাই পানি ও জলহস্তীর মাঝামাঝি কখনো যেতে নেই বলে জানান ডা. নজরুল ইসলাম।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close