আদালত প্রতিবেদক
হলি আর্টিজান হামলা
বীভৎসতা সৃষ্টিতেই অতিথিদের গলাকাটা হয়
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজমের পরিদর্শক মো. হুমায়ুন ক?বির প্রথমদিনের মতো তার জবানবন্দি দিয়েছেন। ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবর রহমানের আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর।
আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে তদন্ত কর্মকর্তা জানান, এক মাস ধরে বসুন্ধরার একটি বাড়িতে হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা হয়। হত্যাকান্ডকে সর্বোচ্চ বীভৎস রূপ দিতেই মানুষগুলোকে গুলি করে হত্যার পর তাদের গলাকাটা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার আগে ও পরে বিভিন্ন অ্যাপ-টেলিগ্রাম, ওয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রাখে অপরাধীরা। হত্যাকান্ডের পর হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁর ভেতরের চিত্র একাত্তরের বীভৎসতার মতো ছিল। নিরীহ মানুষগুলো হত্যা করলে তারা বেহেশত পাবে সরাসরিÑ এমন ধারণা ছিল অপরাধীদের, এমনটাও জানান তদন্ত কর্মকর্তা। এর আগে গ্রেফতার আটজন আসামির সবাইকে আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্টে হামলা চালিয়ে বিদেশি নাগরিকসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। তাদের গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন। পরে কমান্ডো অভিযানে পাঁচ জঙ্গি নিহত হয়। ওই ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গুলশান থানায় একটি মামলা করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আটজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক হুমায়ুন কবীর। একই বছর ৮ আগস্ট চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। পরে ২৬ নভেম্বর আট আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্যদিয়ে এই হামলার বিচার শুরু হয়।
"