আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১৮ অক্টোবর, ২০১৯

পরমাণু আসলে কী?

মহাকাশ ও বিশ্বব্রহ্মা-ের দিকে নজর দিলে নিজেকে অত্যন্ত ক্ষুদ্র মনে হয়। কিন্তু বিশাল নক্ষত্র থেকে শুরু করে অতি ক্ষুদ্র বালুকণার উপকরণ আসলে পরমাণু। এই মৌলিক উপাদানের মধ্যে বৈচিত্র্যের ভিত্তিতেই গোটা জগত সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আশপাশে যা কিছু আছে, আমরা যা দেখি, ছুঁই, যার গন্ধ শুঁকি বা স্বাদ নেই সব পরমাণু দিয়েই তৈরি। এমনকি আমরা নিজেরাও! মোটকথা, সব পদার্থের উপকরণই পরমাণু। পরমাণু এবং সেগুলোর বিন্যাসের ভিত্তিতে পদার্থগুলোর বৈশিষ্ট্য স্থির হয়। যেমন পদার্থের আকার ও রং ওই পরমাণুর ধর্ম-বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে।

এখনো পরমাণু সম্পর্কে আমাদের ধারণা নিলস বোর-এর তত্ত্বের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। কারণ, তার মডেল খুবই স্পষ্ট। সেই তত্ত্ব অনুযায়ী ইলেকট্রন প্রবল বেগে পরমাণুর নিউক্লিয়াস প্রদক্ষিণ করে চলেছে। ঠিক গ্রহগুলো যেভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে চলেছে।

খালি চোখে পরমাণু দেখা যায় না। মানুষের একটি মাত্র চুল কার্বন পরমাণুর তুলনায় ৫ লাখ গুণ বড়। পরমাণুর কেন্দ্রে প্রোটন ও নিউট্রনের পজিটিভ চার্জভরা অতি ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াস রয়েছে। সেটির ওপর নেগেটিভ চার্জভরা ইলেকট্রনের এক মোড়ক রয়েছে। সবচেয়ে ছোট পরমাণুর মধ্যেও একটি প্রোটন ও ইলেকট্রন থাকে। ঠিক যেমন বিভিন্ন নক্ষত্রের গ্রহের সংখ্যা আলাদা হয়, সেভাবে পরমাণুরও কক্ষপথে ইলেকট্রনের সংখ্যার হেরফের দেখা যায়। নিউক্লিয়াসের মধ্যেও প্রোটনের সংখ্যা হয় ভিন্ন। সে কারণেই মৌলিক পদার্থের এমন বৈচিত্র্য দেখা যায়। এখনো পর্যন্ত ১১৮টি মৌলিক পদার্থ আবিষ্কার করা হয়েছে। পিরিয়ডিক টেবল বা পর্যায় সারণী অনুযায়ী সেগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close