মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, সিলেট

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

৪৫০ কোটি টাকা পাচার

সিলেটে ওসির বিরুদ্ধে মামলা তদন্তের নির্দেশ

ভারতে ৪৫০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ উঠেছে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. আবদুল আহাদসহ আটজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সিলেটের বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেছে মঈনুল হক বুলবুল নামে এক আইনজীবী। গত সোমবার দুই দফা শুনানি শেষে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান মামলা আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেটের উপপরিচালককে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলো কানাইঘাট উপজেলার দীঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের জুনাব আলী ওরফে জুনাইর ছেলে তাজিম উদ্দিন, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের জুনাব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম জহির, একই গ্রামের বটল হাজীর ছেলে মো. আবু রায়হান পাভেল, মাছু গ্রামের উনু মিয়ার ছেলে এম মামুন উদ্দিন, দক্ষিণ কুয়রের মাটি গ্রামের মুতলিব শেখের ছেলে শাহাব উদ্দিন, ফরিদ আলীর ছেলে মুসলিম উদ্দিন ও কানাইঘাট থানার সাবেক ওসি বর্তমানে গোয়াইনঘাট থানার ওসি মো. আবদুল আহাদসহ অজ্ঞাত আরো দুই থেকে তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর জসিম উদ্দিন জানান, অ্যাডভোকেট মঈনুল হক বুলবুল ১০ অক্টোবর এই মামলা করেন। মামলাটি আমলে নেওয়া যায় কি না এ নিয়ে দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে আদেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব হুসাইন জানান, উপজেলার সড়কের বাজার দেশের সবচেয়ে বড় চোরাচালানের গরুর হাট। প্রতিদিন শত শত ট্রাকে করে এ বাজার থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাচালানের গরু প্রকাশ্যে বিনা বাধায় সরবরাহ করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত পিপি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মইনুল হক বুলবুল আদালতে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলেন। তবে আদালতের কোনো নির্দেশনা এখনো পাইনি।

মামলার বাদী এম মঈনুল হক বুলবুল জানান, গত ১ আগস্ট এ বাজারে কোরবানির পশু কিনতে গেলে তার কাছেও আসামিরা পুলিশের লাইনের নামে ৮০০ টাকা ঘুষ দাবি করেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে বিষয়টি কানাইঘাট থানার ওসিকে জানানো হয়। তিনি এর কোনো প্রতিকার না করে ম্যানেজ করে নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর এ ব্যাপারে ১৮ আগস্ট দুদক সিলেট অফিসের গেলে তারা বাদীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত কানাইঘাট উপজেলার সড়কের বাজারে আবদুল গফুর ওয়াকফ এস্টেটের ভূমি ব্যবহার করে গবাদি পশুর হাট বসিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অর্থ পাচার ও অবৈধভাবে রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছেন বিবাদীরা। কানাইঘাট থানার সাবেক ওসি আবদুল আহাদের মদদে দীঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এম মামুন উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে দীঘিরপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. আবু রায়হান পাভেলকে বাজারের হাসিল আদায়কারী সাজিয়ে জহিরুল ইসলাম জহির, শাহাব উদ্দিন ও মুসলিম উদ্দিন বেআইনি হাট বসিয়ে এ অপরাধ করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close