নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ অক্টোবর, ২০১৯

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা দেহ-মন সুস্থ রাখে

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকলে মানুষের মন ভালো থাকে, দেহ সুস্থ থাকে। আর মন ভালো থাকলে মানুষ অন্যায় ও অবিচার থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করে। অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতা একজন ব্যক্তিকে উন্নত হতেও সাহায্য করে, দেয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সুস্থতা। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

‘সকলের হাত, পরিচ্ছন্ন থাক’ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের এমন প্রতিপাদ্য নিয়ে গতকাল রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে পালিত হয়েছে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। এদিন সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে ইউনিসেফ আয়োজিত বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের উদ্বোধন করেন তিনি।

মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ, পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকলে মানুষের মন ভালো থাকে। আর মন ভালো থাকলে মানুষ সব ধরনের অন্যায় ও অবিচার থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করে। অন্যদিকে পরিচ্ছন্নতা একজন ব্যক্তিকে উন্নত হতেও সাহায্য করে। আমরা আশা করি, পরিচ্ছন্নতার সেই শিক্ষা নিয়ে আমাদের নতুন প্রজন্ম এমন একটি পরিচ্ছন্ন নতুন দেশ গড়ে তুলবে, যে দেশটিকে পুরো বিশ্ব সম্মান জানাবে। সুন্দর বলবে।

সবার জন্য নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হচ্ছে। এ বছর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘সকলের হাত, পরিচ্ছন্ন থাক’। এর আগে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বিপুলসংখ্যক ছাত্রছাত্রী নিয়ে হাত ধোয়া কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। গতকাল ঢাকাসহ সারা দেশে হাত ধোয়া দিবস পালন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, স্যানিটেশন ব্যবস্থায় বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অর্জন উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্তে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশে উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগের হার উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে এবং ২০১৯ সালের জেএমপি অর্থাৎ জয়েন্ট মনিটরিং প্রোগ্রামের প্রতিবেদন অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে উন্নত স্যানিটেশনের হার প্রায় ৭১ ভাগ। পাশাপাশি বর্তমানে দেশে প্রায় সব লোক কোনো না কোনো ধরনের ল্যাট্রিন ব্যবহার করছে; যা ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্থাৎ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য। এ ছাড়া ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জহিরুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি তোমো হুজমি, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুল মান্নান, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কাজী শামীম ফরহাদ প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close