উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি

  ১৫ অক্টোবর, ২০১৯

চিকিৎসার টাকা জোগাতে সন্তান বিক্রির চেষ্টা

চিকিৎসার টাকা জোগার করার জন্য নবজাতক সন্তান বিক্রি করতে চেয়েছিলেন বরিশালের উজিরপুরের সাতলার এক হতদরিদ্র মা শিখা রানী ও বাবা নিখিল। শেষে ডাক্তারের হস্তক্ষেপে এ বেআইনি কাজ বন্ধ করা গেছে। ওই নারীর চিকিৎসার ভার নিয়েছেন শেবাচিমের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন। জানা গেছে, নিঃসন্তান এক দম্পতির কাছে ২৫ হাজার টাকায় নবজাতক সন্তানকে বিক্রির শেষ মুহূর্তে বরিশাল শেবাচিম পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হলে ক্রেতারা পালিয়ে যান। একই সঙ্গে অসহায় নারীর চিকিৎসার দায়দায়িত্ব নেন শেবাচিমের এই পরিচালক। গত রোববার দুপুরে বরিশাল শেবাচিমের সার্জারি ওয়ার্ডে এ ঘটনাটি ঘটে। হাসপাতালে দায়িত্বরত বরিশাল কেতোয়ালি মডেল থানার এসআই মো. নাজমুল হুদা জানান, সাতলা গ্রামের বাসিন্দা নিখিল। তিনি পেশায় দিনমজুর। তাদের সংসারে আগের দুটি সন্তান রয়েছে। দেড় মাস আগে সাতলার একটি ক্লিনিকে সিজারিয়ান অপারেশন করে আরো একটি সন্তান জন্ম দেন শিখা রানী সেখানে অপারেশনে ত্রুটি হয়েছে, এমন সমস্যা নিয়ে গত কয়েকদিন আগে শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গাইনি বিভাগে ভর্তি হন। সংশ্লিষ্ট গাইনি বিভাগের চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানান, শিখা হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত। তার জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসা প্রয়োজন। কিন্তু দিনমজুর নিখিল স্ত্রী শিখার চিকিৎসার খরচ জোগার করতে না পারায় এক পর্যয়ে সদ্য ভূমিষ্ঠ সন্তানটি বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেন।

বরিশাল নগরীর নতুল্লাবাদ এলাকার এক নিঃসন্তান দম্পতি ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ওই শিশুকে ক্রয় করার জন্য উভয়ের সম্মতিক্রমে দেড়শ’ টাকার স্ট্যম্পে চুক্তি করার সময় বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ ও হাসপাতালের পরিচালকের তৎপরতায় নবজাতক বিক্রির এ চেষ্টা ভন্ডুল হয়ে যায়। হাসপাতালের পরিচালক ডা. বাকির হোসেন শিখার চিকিৎসা খরচের দায়-দায়িত্ব নিলে সন্তানটি রক্ষা পায় বিক্রয়ের হাত থেকে। ডা. বাকির হোসেন জানান, বাচ্চাটিকে কোলে নিয়ে বাবা-মায়ের হাতে তুলে দিয়েছি। আর দরিদ্র নারীর চিকিৎসার দায়-দাযিত্ব গ্রাহণ করেছি।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close