দুদকের ১৩০ কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি জালিয়াতি মামলায় নীলফামারী জেলা রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমানকে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ এ ঘটনায় লুৎফুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এর সত্যতা পেয়েছেন। দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এর উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ এ ঘটনায় লুৎফুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। চলতি বছরের ১৯ আগস্ট দুদক মামলা করে তার বিরুদ্ধে। গত রোববার মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের জেলা রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে ২০১২ সালের ১৩ আগস্ট নগরের খুলশী এলাকার হাজি গণি সওদাগর ওয়াকফ এস্টেটের ১ হাজার ১৮৪ শতক জমি ভুয়া হেবা ঘোষণা দলিলের (দলিল নং-১৪৫১৬) মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছিলেন তিনি।

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট কাজী ছানোয়ার আহমেদ লাভলু জানান, আগ্রাবাদ মুহুরীপাড়ার মৃত হাজি জেবল হোসেনের ছেলে মো. জাকির হোসেন, পাঁচলাইশের আল মাদানী রোডের মৃত সামসুল আলমের ছেলে মো. আতাউল করিম উসমানী সোহেল ও চট্টগ্রাম আদালতের এক আইনজীবীর সঙ্গে যোগসাজশে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা মূল্যের এসব সম্পত্তি জালিয়াতি করে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে আত্মসাৎ করেন লুৎফুর রহমান।

"