আদালত প্রতিবেদক

  ১৪ অক্টোবর, ২০১৯

বিএনপি নেতা হাফিজের জামিন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেফতার হওয়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জামিন পেয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন খারিজ করে গতকাল রোববার বিকেলে ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

হাফিজের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার শুনানিতে বলেন, ‘উনি অসুস্থ। ই-মেইল তিনি করেননি। তার বিরুদ্ধে এজাহারে কোনো অভিযোগ নাই। তাকে জামিন দেওয়া হোক।’

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী আজাদ রহমান ও হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন শুনানি করেন। শুনানিতে হিরন বলেন, ফেসবুকে তথ্য চালাচালি করেছেন হাফিজ। আসামি পক্ষের আইনজীবী তখন বলেন, ‘মামলার কোথাও ফেসবুকের কথা বলা হয়নি। রাষ্ট্রপক্ষ দেখাতে পারলে আমি জামিন আবেদন প্রত্যাহার করে নেব। পরে বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।

এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্লবী থানার এসআই নূরে আলম গতকাল সকালে তাকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের হেফাজতের আবেদন করেন।

একই মামলায় গ্রেফতার হওয়া অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ানকে আগের দিন সাত দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২০১৮ এর ২৭/৩১/৩৫ ধারায় পল্লবী থানায় র‌্যাবের দায়ের করা মামলায় শনিবারই এ দুজনকে গ্রেফতার করা হয়।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা হাফিজউদ্দিন সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির ‘সংস্কারপন্থি’ অংশের মহাসচিব ছিলেন। এর আগে তিনি বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পানিসম্পদমন্ত্রী ছিলেন।

তারা ই-মেইলে বিভিন্ন সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক কথাবার্তা আদান-প্রদান করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়, গত ২ মে বেলা ১১টা ৫৭ মিনিটের দিকে কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ইসহাক মিয়ান (৬৩) তার মিরপুর ডিওএইচএসের বাসা থেকে ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহার করে একটি বার্তা পাঠান। সেখানে তিনি ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন, গোয়েন্দা সংস্থা, র‌্যাব ও পুলিশসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার ভূমিকা সম্পর্কে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যমূলক তথ্য পাঠান, যা রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তার ওই কাজে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করে দেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটনানোর অপচেষ্টা করা হয়েছে। আসামির এমন কার্যকলাপ সামরিক বাহিনীতে অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করার হীন প্রচেষ্টা।

হাফিজ উদ্দিন ও ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেনসহ অনেকেই তার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা ইসহাক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে র‌্যাবের ভাষ্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close