প্রতিদিনের সংবাদ ডেস্ক

  ১৩ অক্টোবর, ২০১৯

মহাকাশে কৃত্রিম মাংস তৈরির সফল পরীক্ষা

প্রাণীর কোষ থেকে মাংস তৈরির কাহিনি এখন আর বিজ্ঞান কল্পকাহিনির বিষয় নয়। রাশিয়ার এক মহাকাশচারী আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কোষ থেকে কৃত্রিম মাংস তৈরির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছেন এবং কোষ থেকে তৈরি এই মাংস সুপার মার্কেটে চলে আসা এখন ‘সময়ের ব্যাপার মাত্র’।

তারা গত সেপ্টেম্বরে থ্রি-ডি প্রিন্টার ব্যবহার করে মহাকাশ স্টেশনে গরু ও খরগোশের মাংস এবং মাছের টিসু উৎপাদন করেন। দীর্ঘ সময়ের ভ্রমণ এবং মহাকাশে দীর্ঘ সময় কাটানো বিশেষ মঙ্গল অভিযানের মতো দীর্ঘ সময়ের যাত্রার জন্য এই উদ্ভাবনা জরুরি। ইসরায়েলি খাদ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আলেফ ফার্মস মহাকাশ স্টেশনে এই প্রাণিকোষ সরবরাহ করে। আলেফ ফার্মের সিইও দিদিয়ার তৌবিয়া বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ‘আমাদের লক্ষ্য পৃথিবীতে এই মাংস বিক্রি করা।’ এই ধারণা প্রচলিত কৃষি খামারের বিকল্প হবে না, তবে ডেইরি ফার্মের ভালো বিকল্প হবে।

মহাকাশে প্রথম হলেও এর আগে ডাচ বিজ্ঞানী মার্ক পোস্ট ২০১৩ সালে গরুর মাংসের বার্গার আকৃতির স্টেমসেল তৈরি করেন। বর্তমানে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় আরো সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির জন্য প্রযুক্তি উন্নয়নের চেষ্টা চলছে। ক্যালিফোর্নিয়ার জাস্ট কোম্পানির সিইও জোস টিটরিক সানফ্রান্সিসকোয় এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কৃত্রিম মাংস বাজারে সরবরাহে এই বছরটা লাগতে পারে। এই মাংস শুধু ৪ হাজার ওয়ালমার্ট অথবা সব ম্যাকডোনাল্ডেই নয়, বরং বিপুলসংখ্যক রেস্তোরাঁয় সরবরাহ করা হবে। অবশ্য অচিরেই এই কৃত্রিম মাংস বাজারে পাওয়ার নিয়ে ভিন্নমত দিয়েছেন ফর্ক অ্যান্ড গুডডির প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও নিয়া গুপ্তা। তিনি বলেন, ‘এই ধরনের শিল্প আমরা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুফল হিসেবে নিয়েছি, তবে পরবর্তী উন্নয়নের জন্য কারিগরি বিষয়টি একটি চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের কৃত্রিম মাংস সুপার মার্কেটে আসতে ৫ থেকে ২০ বছর সময় লাগবে। এ খাতে আরো বিনিয়োগ দরকার। ২০১৮ সালে মোট বিনিয়োগ হয়েছে মাত্র ৭৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close