বশেমুরবিপ্রবি ও গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

  ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৯

বশেমুরবিপ্রবিতে ভিসি অপসারণের দাবি অব্যাহত

গোপালগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবির) ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে আমরণ অনশনসহ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে। এ আন্দোলনের পঞ্চম দিনে গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের ভিসিবিরোধী মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। এ সমাবেশ ও অনশন কর্মসূচি থেকে ভিসির পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। প্রশাসনিক ভবনের সামনে গতকালও অনশনরত ছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়েও ভিসিবিরোধী সমাবেশ করতে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের সমাবেশে জানিয়েছেন, তাদের আন্দোলন

বানচালের বিভিন্ন চেষ্টা চলছে। নানা ষড়যন্ত্র চলছে। নিজেদের মধ্যে আত্মকলহ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থীদের সজাগ থাকার জন্য সমাবেশ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। কেউ যেন দুষ্টুদের পাতা ফাঁদে পা না দেন, সেজন্য সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। অপরিচিতদের প্রবেশ ঠেকাতে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একটি ভলান্টিয়ার গ্রুপ তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের ওই এক দফা এক দাবির কথা জানিয়ে বর্তমান ভিসির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে তারা ঘোষণা দিয়েছেন।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থান থেকে এসে যোগ দেন এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই সাবেক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি বড় অংশও রয়েছেন শিক্ষার্থীদের এ দাবির সঙ্গে। ইতোমধ্যে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলেই সুষ্ঠু সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের এক দফা নিয়েই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে ঘোষণা করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ আশপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। র‌্যাব সদস্যদেরও টহলরত অবস্থায় দেখা গেছে। গণমাধ্যম কর্মীরাও ক্যাম্পাসে অপেক্ষমাণ থেকে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বিকাল পৌনে ৪টার দিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণভাবে চলছে স্বীকার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, গত শনিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি করে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ আছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close