সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের কলবাড়ী গ্রামের একটি বসতঘরে এক মা গোখরা, ১৪টি ওই সাপের বাচ্চা এবং ২১টি ডিমের খোলস পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার কলবাড়ী গ্রামের হরপ্রসাদ মন্ডলের বসতঘরে এ সাপগুলোর সন্ধান মিলে।

হরপ্রসাদ মন্ডল জানান, বুধবার আমাদের এখানে মনসাপূজার আয়োজন করা হয়। ওইদিন একটি সাপের বাচ্চা দেখা যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার তিনটি সাপের বাচ্চা একসঙ্গে দেখা যায়। সাপের বাচ্চা তিনটি পিটিয়ে মারা হয়। এরপর সাপের চলাচলের পথ দেখে সন্দেহ হচ্ছিল এখানে আরো সাপ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত ঘরের মেঝেতে একটি মা গোখরা, ১৪টি বাচ্চা ও ২১টি সাপের ডিমের খোলস পাওয়া গেছে। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল বলেন, তিনটি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলার পর সন্দেহের বশবর্তী হয়ে পার্শ্ববর্তী এলাকার বেদেদের ডেকে ঘরের বেড়া খুলে ফেলেন হরপ্রসাদ মন্ডল। এরপর একে একে ১৪টি সাপের বাচ্চা ও ২১টি সাপের ডিমের খোলস পাওয়া যায়।

মা গোখরাটি জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করলেও বাচ্চাগুলোকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। এরপর থেকে হরপ্রসাদ মন্ডলের বাড়িসহ আশপাশের বাসিন্দাদের মাঝে সাপের আতঙ্ক বিরাজ করেছে। সাপুড়েরা সাপগুলো দেখে বলেছেন, এগুলো কেউটে জাতীয় সাপ। মারাত্মক বিষধর। এই সাপ কোনো মানুষকে দংশন করলে মাত্র ৫-১০ মিনেটের মধ্যে তার মৃত্যু হতে পারে।

"