নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ আগস্ট, ২০১৯

আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে এখনো গভীর সংকটে দেশ

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, আজ যে যমুনা সেতু দেখছেন সেটা নিয়ে ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাপানের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। জাপান এসে ফিজিবিলিটি স্ট্যাডিও করে গিয়েছিল। পদ্মা সেতু নিয়েও তিনি পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট ভোরে তাঁকেসহ পুরো পরিবারকে নৃশংস হত্যার মধ্য দিয়ে দেশকে গভীর সংকটে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে হারিয়ে দেশ এখনো গভীর সংকটে। তিনি বেঁচে থাকলে দেশ আরো এগিয়ে যেত। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের অডিটোরিয়ামে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে মাত্র সাড়ে ৩ বছর পেয়েছিল বাংলাদেশ। এই কম সময়ের শাসনামলেই প্রায় শূন্য অর্থনীতির দেশকে আত্মমর্যাদাসম্পন্ন জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে যান বঙ্গবন্ধু। যুদ্ধের সময় দীর্ঘ ৯ মাস দেশে কোনো ফসল উৎপাদন হয়নি। বিজয়ের পরে দেশ ছিল গভীর সংকটে। খাদ্য ছিল না, সড়ক ও কালভার্ট ছিল না, পরিবহন ছিল না। এই গভীর সংকটের মধ্যেই অল্প দিনে তিনি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে নানা পরিকল্পনা করেছেন এবং দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত রাস্তাঘাট মেরামত শুরু করেন, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা খুলে দেন, স্বাভাবিক হতে শুরু করে পরিস্থিতি। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বে সংকট কাটিয়ে ওঠে বাংলাদেশ।

মন্ত্রী বলেন, যারা বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা করে না তারা বাংলাদেশের উন্নতি চায়Ñ এটা কীভাবে বিশ্বাস করব! বিএনপি অফিসে যান সেখানে নেই তাঁর ছবি। ভারতে গিয়ে দেখেন ইন্ধিরা গান্ধীর ছবি সরকারি-বেসরকারি অফিস ও আদালতে রয়েছে। তাহলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি কেন থাকবে না। সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

তাজুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ভুলানোর জন্য অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল। বিশেষ করে বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবসসহ কোনো দিবসে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করা হতো না। কিন্তু তাদের সেই চেষ্টা সফল হয়নি। এই বাংলার মানুষ তাকে ভুলে নাই।

এর আগে জাতির পিতা এবং তার সঙ্গে শাহাদতবরণকারী পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া, ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করা হয়।

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব কামাল উদ্দিন তালুকদার। আরো বক্তব্য দেন স্থানীয় প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী খলিলুর রহমান, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী সাইফুর রহমান প্রমুখ।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close