আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ২০ আগস্ট, ২০১৯

ইয়েমেনে যুদ্ধের কারণে কর্মহীন বাবা

খাবারের অভাবে হাড্ডিসার শিশু

যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে ইয়েমেন থেকে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কাজের জন্য সৌদি আরব যেতেন আলি মোহাম্মদ। কিন্তু সীমান্তে যুদ্ধের কারণে প্রায় চার বছর ধরে নিজের প্রত্যন্ত গ্রামে কর্মহীন হয়ে পড়েন আলি। আয় বন্ধ হওয়া ঘরে কোনো খাবার থাকে না। আর তাই খাবারের অভাবে ক্ষুধা ও অপুষ্টিতে হাড্ডিসার হয়েছে শিশুসন্তান। তবে এখন যেন কিছুই করার নেই। এর জন্য দায়ী যেন নিয়তি। দুই বছরের সন্তান মুয়াতের অবস্থা হাড্ডিসার। পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন আলী। ইয়েমেনে চলছে যুদ্ধ। এই যুদ্ধের শেষ কোথায় বলার সাধ্য নেই কারো। ইয়েমেনের যুদ্ধকে জাতিসংঘ বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ মানবিক বিপর্যয় হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। এই যুদ্ধ দেশটিকে ঠেলে দিয়েছে

দুর্ভিক্ষের দিকে। তবে জাতিসংঘ এখনো দেশটিতে দুর্ভিক্ষ হয়েছে এমন ঘোষণা দেয়নি। তবে সংস্থাটি বলেছে, দুর্ভিক্ষ আসন্ন। সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৫ সালের মার্চে হুতি আন্দোলনের (ইরান সমর্থিত) বিরুদ্ধে ইয়েমেনে অভিযান শুরু করে। এরপর থেকে ১০ হাজারেরও বেশি ইয়ামেনি প্রাণ হারিয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

এরই মধ্যে দেশটিতে যেকোনো ধরনের সহায়তা, খাবার এবং জ্বালানি পাঠানোর পথ বন্ধ হয়ে গেছে। আমদানি কমে দেশটিতে দেখা দিয়েছে মারাত্মক মুদ্রাস্ফীতি। বন্ধ হয়ে গেছে চাকরিজীবী মানুষের আয়। সরকার তাদের কোনো বেতন না দেয়ায় মানুষকে চাকরি এবং ঘর দুটোই ছাড়তে বাধ্য করেছে। জাতিসংঘ বলছে, ইয়ামেনের ৮০ শতাংশ মানুষের এখন মানবিক সহায়তা প্রয়োজন। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ইয়ামেনের গ্রামজুড়ে সব শিশুর অবস্থা মুয়াতের মতো। অপুষ্টির কারণে দুই বছর বয়সি মুয়াতের ওজন মাত্র সাড়ে ৫ কেজি। এ গ্রামগুলোতে ভালো খাবার, স্বাস্থ্যসেবা ও বিশুদ্ধ পানির চরম সংকট।

হাজ্জা প্রদেশের বাসিন্দা আলি বলেন, যুদ্ধের কারণে এখন সৌদি আরবে গিয়ে কাজ করার আর সুযোগ হয়নি। সারা দিন ঘরে বসেই সময় কাটে। এ ছাড়া এখানে কোনো কাজ নেই। যুদ্ধ শেষ না হলে এই পরিস্থিত বদলাবে না। ছেলের চিকিৎসার বিষয়ে আলি বলেন, গ্রামের ক্লিনিকে চিকিৎসা সরঞ্জামের স্বল্পতা রয়েছে। এ ছাড়া ভালো কোনো ক্লিনিকে যাওয়ার যে পরিবহন ব্যয় তা বহনেও সক্ষম ছিল না শিশুর পরিবারের।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close