নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৮ আগস্ট, ২০১৯

স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

ডেঙ্গু বিস্তার রোধে সচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা জরুরি

‘স্টপ ডেঙ্গু মোবাইল অ্যাপ’ চালু

ডেঙ্গুর প্রজনন ক্ষেত্র জানতে ‘স্টপ ডেঙ্গু মোবাইল অ্যাপ’ চালু করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে ডেঙ্গুর প্রজনন ক্ষেত্র এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কে জানা যাবে মোবাইল অ্যাপে। গতকাল শনিবার জাতীয় স্কাউটস ভবনে পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ সমঝোতা স্বাক্ষর এবং অ্যাপ উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে সচেতনতা ও জনসম্পৃক্ততা জরুরি। বাংলাদেশ স্কাউটসের কার্যক্রম দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত। এতে স্কাউটসদের কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, বসতবাড়ি ও আঙিনা পরিষ্কারের পাশাপাশি ড্রেন, লেক, খাল পরিষ্কার রাখতে হবে। আর বায়ু ও নদীদূষণের মতো বিষয়গুলোও বিবেচনায় রাখতে হবে।

বাংলাদেশ স্কাউটসের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মো. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান এবং বাংলাদেশ স্কাউটসের প্রধান জাতীয় কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ইউসুফ হারুন এবং ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থা/বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

চুক্তি স্বাক্ষরের পর মন্ত্রী ‘স্টপ ডেঙ্গু’ নামে একটি বিশেষায়িত অ্যাপের উদ্বোধন করেন। ই-ক্যাব বাংলাদেশের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অ্যাপটি তৈরিতে কারগরি সহায়তা দেয় ই-পোস্ট ও বিডি ইয়ুথ। ‘স্টপ ডেঙ্গু’ অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে সারা দেশের মশার প্রজনন স্থানের ম্যাপিং করা হবে। ফলে সংশ্লিষ্ট দফতর/সংস্থাগুলো ডেঙ্গুর লার্ভা নির্মূল করতে যথাযথ কার্যক্রম গ্রহণ করতে পারবে। অ্যাপটির ব্যবহার ও কার্যকারিতার ওপর ই-ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মাদ আবদুল ওয়াহেদ তমাল বলেন, স্টপ ডেঙ্গু অ্যাপ ব্যবহারের মাধ্যমে যে কেউ সারা দেশের যেকোনো স্থানে মশার প্রজনন স্থান স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করতে পারবেন। এর মাধ্যমে পুরো দেশের মশার প্রজনন স্থানের ম্যাপিং তৈরি হবে। ফলে সিটি করপোরেশন এবং স্থানীয় সরকার খুব সহজেই কোন এলাকায় কত জন লোক নিয়োগ করতে হবে তা মশার জন্ম স্থানের ঘনত্ব দিয়ে নির্ধারণ করতে পারবে। তিনি আরো বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণে কী পরিমাণ ওষুধ কিনতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়টিও জানা যাবে অ্যাপের মাধ্যমে। একইসঙ্গে পরবর্তী বছরের জন্য আগ থেকে সতর্কতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করা যাবে।

পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ বিনির্মাণে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো একজোট হয়েছে সরকারের পাঁচটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং আরো চারটি সংস্থা। দেশজুড়ে ছড়িয়ে পড়া ডেঙ্গু জ¦র থেকে মুক্তির লক্ষ্যে উন্মোচন করা হয় স্টপ ডেঙ্গু মোবাইল অ্যাপ। চুক্তি অনুযায়ী পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সংক্রমিত রোগ প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, বিশ্লেষণের মাধ্যমে প্রযুক্তির সহায়তায় নাগরিক পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে যে যার অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। বহুপক্ষীয় সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ স্কাউটস, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইক্যাব), ডিএসসিসি, ডিএনসিসি, স্বাস্থ্য অধিফতরের মহাপরিচালকের কার্যালয়ের সেবা বিভাগ, স্থানীয় সরকার অধিদফতর, আইসিটি বিভাগের অধীনস্থ এটুআই প্রকল্প এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close