নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৬ আগস্ট, ২০১৯

বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে তিন দফা সুপারিশ

পুঁজিবাজারের কাঙ্ক্ষিত বিস্তৃতির লক্ষ্যে বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন জরুরি

করপোরেট বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের কাজ শুরু করেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় করপোরেট বন্ড মার্কেটের উন্নয়নে করপোরেট বন্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য স্ট্যাম্প শুল্ক যৌক্তিক করাসহ তিন দফা সুপারিশ করেছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বিএসইসির চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন সম্প্রতি এক চিঠিতে এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়াকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারের কাঙ্ক্ষিত বিস্তৃতির লক্ষ্যে বন্ড মার্কেটের উন্নয়ন জরুরি এবং অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় বন্ড মার্কেট উন্নয়নের কথা বলেছেন। তাই এ ক্ষেত্রে কতিপয় কর প্রস্তাবনা বিবেচনার জন্য উপস্থাপন করা হলো। করপোরেট বন্ডের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য স্ট্যাম্প যৌক্তিক করা প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, করপোরেট বন্ডের ইস্যুর ক্ষেত্রে ২ শতাংশ হারে (এনফোর্সমেন্টের মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য বন্ডের ক্ষেত্রে) অথবা ২ শতাংশ হারে (ডেলিভারির মাধ্যমে হস্তান্তরযোগ্য বন্ডের ক্ষেত্রে) বন্ডের প্রতিদান মূল্যের ওপর যে স্ট্যাম্প শুল্ক আছে তা বন্ড মার্কেট সৃষ্টিতে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে কাজ করছে। বন্ড মার্কেটের উন্নয়নের জন্য বন্ড ইস্যুর ওপর প্রযোজ্য স্ট্যাম্প শুল্ক কাগজে বন্ডের ইস্যু ক্ষেত্রে স্ট্যাম্প শুল্ক শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হারে বা থোক পরিমাণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা করা যেতে পারে। তবে (ফবসধঃবৎরধষরুবফ) করপোরেট বন্ডের ওপর থেকে তুলে দেওয়া যেতে পারে। করপোরেট বন্ডের লেনদেনভিত্তিক উৎস আয়কর যৌক্তিকীকরণ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত করপোরেট বন্ডের লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্রোকারদের ওপর প্রযোজ্য উৎস কর লেনদেনের মূল্যভিত্তিক (শূন্য দশমিক ১ শতাংশ হারে) এর পরিবর্তে ট্রেড প্রতি ধার্য করা যেতে পারে। কারণ, এ ক্ষেত্রে ব্রোকারদের ট্রেড প্রতি কমিশন আদায় করে থাকেন। এখানে উল্লেখ্য যে, বর্তমানে ব্রোকারদের মক্কেলের কাছ থেকে করপোরেট বন্ডের ট্রেড প্রতি ১০০ টাকা আদায় করেন এবং স্টক এক্সচেঞ্জকে ট্রেড প্রতি ৫০ টাকা ও ডিপোজিটরিকে (সিডিবিএল) ট্রেড প্রতি ২৫ টাকা প্রদান করেন। তাই করপোরেট বন্ডের ট্রেড প্রতি উৎস আয়কর সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৩৭৫ টাকার (২৫ টাকা বা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ) নিচে যেকোনো পরিমাণ করা যেতে পারে।

করপোরেট বন্ডের বিনিয়োগ থেকে আয়ের ওপর কর-সুবিধা কাঠামো নিরপেক্ষ করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বর্তমানে বন্ডের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতি শুধু জিরো কুপন বন্ডের ক্ষেত্রে ষষ্ঠ তফসিল, পার্ট এ, অনুচ্ছেদ ৪০ অনুসারে শর্তাধীনভাবে প্রযোজ্য। এ সুবিধা সব ধরনের করপোরেট বন্ডের বিনিয়োগকারীর জন্য সমরূপ হওয়া দরকার বলে সুপারিশ করা হয়েছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close