সৌদি আরবের মক্কায় রীতি অনুযায়ী এবারও কাবাঘরের গায়ে স্বর্ণখচিত গিলাফ পরানো হয়েছে। প্রতি বছরের মতো আরাফাতের দিনে (৯ জিলহজ) গতকাল শনিবার পবিত্র কাবা আচ্ছাদিত হয়েছে নতুন গিলাফে। পবিত্র মসজিদের (মসজিদুল হারাম) ও মসজিদে নববির সভাপতি শেখ ড. আবদুল রহমান বিন আবদুল আজিজ আল সুদাইসের তত্ত্বাবধানে ফজরের নামাজের পর নতুন এ গিলাফ পরানো হয়।

হজের দিন হজ পালনকারীদের আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের কারণে মসজিদে হারাম তথা কাবা চত্বরে মানুষের উপস্থিতিও থাকে একেবারেই কম। আর তাতে কাবা শরিফে নতুন গিলাফ পরাতেও সুবিধা হয়। হজ পালন শেষে হাজিরা তাওয়াফ করতে এসে দেখতে পান উজ্জ্বল চকচকে গিলাফ। কাবা শরিফকে আবৃত করতে মোট পাঁচ টুকরা কিসওয়া বা গিলাফ বানানো হয়। দরজার ওপরে কারুকার্য খচিত গিলাফটি ছাড়া কাবা শরিফের চার দিকে চারটি গিলাফ পরানো হয়। প্রতিটি গিলাফ একটির সঙ্গে অপরটি সেলাই করা। কাবার গিলাফ তৈরি করতে প্রয়োজন হয় ৬৭০ কেজি রেশম। ১৫০ কেজি সোনা ও রুপার চিকন তার। ১ মিটার লম্বা ও ৯৫ সেন্টিমিটার চওড়ার ৪৭ থান সিল্কের কাপড় দিয়ে তৈরি করা এ গিলাফ। গিলাফের মোট ওজন ৬৫৮ কেজি।

প্রতি বছরই সতর্কতাবশত দুই সেট গিলাফ তৈরি করা হয়। যাতে একটি নষ্ট হয়ে গেলে অন্যটি পরানো যায়। একটি হাতে তৈরি করা হয়। আর অন্যটি (সতর্কতাবশত) মেশিনে তৈরি করা হয়। হাতে কাবা শরিফের গিলাফটি তৈরিতে সময় লাগে ৮-৯ মাস। অন্যটি মেশিনে তৈরি করতে সময় লাগে এক মাস। নতুন গিলাফ পরানোর সময় পুরোনো গিলাফ সরিয়ে ফেলা হয়। তা কেটে মুসলিম বিশ্বের সরকার প্রধানদের উপহার দেওয়া হয়।

"