চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

  ১০ আগস্ট, ২০১৯

চাঁপাইয়ে কর্তৃপক্ষের কোন্দল

বেতন-বোনাস পাননি চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

চাঁপাইনবাবগঞ্জে চক্ষু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আয়াজ উদ্দীনের নির্দেশনায় ব্যাংক হিসাব বন্ধ থাকায় বেতন-বোনাস পাননি হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। বেতন-বোনাস না পেয়ে চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। হাসপাতালে কর্মরত রুমা ইসলাম, লেতুনজেরা, জান্নাতুনসহ বেশ কয়েকজন ঈদের অগে বেতন-বোনাস না পেয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অনেকের এটিই একমাত্র উপার্জন। বেতন না পেলে কীভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদ উদযাপন করবেন এমন প্রশ্নও করেন তারা। জানা গেছে, এই হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলের শিকার হয়ে ঈদের বেতন-বোনাস পাননি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

গত ২৯ জুন এক সভায় হাসপাতালের নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে হাসপাতাল কমিটির মধ্যে সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ব্যাংক হিসাব স্থগিত রাখার কথা জানিয়ে ব্যাংকে চিঠি দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ চক্ষু হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আয়াজ উদ্দীন। ব্যাংক হিসাব বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবি ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকও। ব্যাংক হিসাবে পৌনে ২ কোটি টাকা থাকার পরেও স্থগিত থাকায় চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-বোনাস দিতে পারেনি হাসপাতালটির হিসাব শাখা।

এ বিষয়ে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল হাকিম বলেন, আর্থিক অনিয়মের প্রমাণ পাওয়ায় নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলামকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একাধিকবার বলার পরেও সভায় উপস্থিত না হওয়ায় বিধি মোতাবেক কমিটির ভাইস চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির এক সভায় নির্বাহী কর্মকর্তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরপর হাসপাতাল পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আয়াজ উদ্দীন নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত বাতিল করে তাকে পুনরায় বহালের অনুরোধ করেন। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত ফিকশনকে স্বপদে বহাল না করায় তিনি ব্যাংকে চিঠি দিয়ে অ্যাকাউন্ট স্থগিত করে দিয়েছেন।

প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলামের পরামর্শে প্রভাবিত হয়ে ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছেন ডা. আয়াজ উদ্দীন। চেয়ারম্যানের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে এই অচলাঅবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. আয়াজ উদ্দীনের মোবাইল ও টেলিফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

প্রকৌশলী এ কে এম খাদেমুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তারা আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে, সেটা অগণতান্ত্রিক। সেই মিটিংয়ে চেয়ারম্যানসহ অনেকেই অংশ নেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ জেড এম নূরুল হক বলেন, চক্ষু হাসপাতালটি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলাবাসীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এ নিয়ে আভ্যন্তরীণ যে দ্বন্দ্ব রয়েছে, তা সমাধানে আমি চেষ্টা করব। যাতে হাসপাতালটি আরো ভালোভাবে তার সেবা কার্যক্রম চালাতে পারে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close