নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

  ১০ আগস্ট, ২০১৯

গৃহশিক্ষিকার সুইসাইড নোট

‘আমার মৃত্যুর জন্য ৩ জন দায়ী’

‘আমি অন্যায় করার পর মাফ চেয়েছি। কিছু কথা বলার পর তাদের কাছে মাফ চাইছি। তারা বলে ঈদের পর দরবার করবে। এই ভয়ে আমি ফাঁসি দিতে বাধ্য। আমার বাবা-মায়ের কাছে অনুরোধ, তারা আমারে মাফ করেন যেন। আমি কিছু কথা বলার কারণে, আমার ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবক নাজমা আক্তার ও তার মা, শাশুড়ি আমার মরণের কারণ। তারা তিনজন আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী।’

গত সোমবার এই সুইসাইড নোটটি লিখে আত্মহত্যা করেছেন তাহেরা আক্তার (১৮) নামে এক গৃহশিক্ষিকা। সে কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউপির নোয়াপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য মজিবুর রহমানের মেয়ে।

গত কয়েক দিনের অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে একই গ্রামের প্রবাসী আলমগীর ও নাজমার মেয়েকে আরবি পড়াতেন তাহেরা। ফলে প্রতিদিন যাতায়াত ছিল তাদের বাড়িতে। কলেজে পড়–য়া নাজমার মেয়ের সঙ্গে পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে, যা জানতে পারেন তাহেরা। প্রতিদিনের মতো তাহেরা গত সোমবার বিকালে আরবি পড়াতে গেলে নাজমা তাহেরাকে বিভিন্ন ধরনের কটুকথা বলেন। পরে তাহেরা বাড়ি গিয়ে একটি সুইসাইড নোট লিখে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।

এ বিষয়ে নাজমা বলেন, আমি হেসে হেসে তাহেরাকে বলেছি, তুই ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কাছে এসব কি বলেছিস। আমার মেয়ে ঈদের সময় বাড়িত আসলে তা প্রমাণ হবে। পাশাপাশি তোরও কঠিন বিচার হবে। পরে সে বাড়িতে চলে যায়। তাহেরা যে ফাঁসি দেবে তা আমার জানা ছিল না।

তাহেরার বাবা মুজিবুর রহমান জানান, আমার মেয়ে ও পরিবারের সঙ্গে কারো কোনো বিরোধ ছিল না। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা আমি জানি না।

এ বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার ওসি নজরুল ইসলাম বলেন, নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close