মাদারীপুর প্রতিনিধি

  ১৬ জুলাই, ২০১৯

হত্যার পর পুড়িয়ে দেওয়া হয় দিপ্তীর মুখ

মাদারীপুর শহরের পাকদী এলাকায় পুকুর থেকে গত শনিবার সন্ধ্যায় উদ্ধার হওয়া কিশোরীর পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম দিপ্তী। নিহত কিশোরী মাদারীপুর সদর উপজেলার চরনাচনা গ্রামের মজিবর ফকিরের মেয়ে। সে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী। দিপ্তী দুই দিন ধরে নিখোঁজ ছিল।

পুকুরে কিশোরীর বিবস্ত্র লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তবে প্রথম দিন লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া না গেলেও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হওয়ার পরে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দিপ্তী গত ১০ জুলাই সকালে মাদারীপুর শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে আসে। পর দিন দুপুরে বেড়ানো শেষে গ্রামে বাড়ি রওনা দেয়। এরপর থেকেই সে নিখোঁজ ছিল। গত শনিবার সন্ধ্যায় শহরের পাকদী এলাকার একটি পুকুর থেকে কিশোরীর লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে স্বজনরা গত রোববার সকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে এসে লাশ দেখে তা দিপ্তীর বলে শনাক্ত করে। নিহত কিশোরীর শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। মুখ আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ঝলসে দেওয়া হয়েছে। পেটে ছুড়িকাঘাত করা রয়েছে। লাশটি ছিল বিবস্ত্র।

নিহতের চাচা গোলাম মাওলা ফকির বলেন, ‘দিপ্তী গত বুধবার বোনের বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। গত বৃহস্পতিবার বেড়ানো শেষে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। পরে আমার খবর পাই একটি মেয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গত রোববার হাসপাতালের মর্গে এসে লাশ দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত করি। আমরা ধারণা করছি কেউ অপহরণ করে নিয়ে গিয়ে দিপ্তীকে হত্যা করেছে। আমরা এর বিচার চাই।’

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বদরুল আলম মোল্লা বলেন, কিশোরী পরিচয় পাওয়া গেছে। ধর্ষণ শেষে হত্যা কি-না সেটা ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে মামলা হবে। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ কাজ করছে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close