নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ জুলাই, ২০১৯

আইইবির সেমিনারে বক্তারা

জলবায়ু পরিবর্তনে উপকূলে লবণাক্ততা বাড়ছে

জলবায়ু পরিবর্তন এবং নদীভাঙনের কারণেই উপকূলীয় অঞ্চলে লবণাক্ততা বাড়ছে। মিঠা পানির অভাবে উপকূলীয় এলাকায় ধানচাষ কমে যাচ্ছে। আবার অনেক কৃষক ধানের বদলে চিংড়ি অথবা সামুদ্রিক মাছ চাষ করছেন। তবে বর্তমান সরকার খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই কৃষি উন্নয়নের নিশ্চিত করে জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য বদ্ধপরিকর।

গতকাল বুধবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের (আইইবি) কৃষিকৌশল বিভাগের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের লবণাক্ত উপকূলীয় অঞ্চলের মাটির উপরিভাগে চাষযোগ্য ফসলের জন্য পানি সংরক্ষণের সেচ প্রযুক্তির উন্নয়ন ও অভিযোজন’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন আইইবির চেয়ারম্যান এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আবদুস সবুর। সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের পরিচালক সদস্য (এনআরএম) ড. প্রকৌশলী সুলতান আহম্মেদ।

সেমিনারে বক্তব্য রাখেন আইইবির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, বিএআরআইয়ের সাবেক পরিচালক (গবেষণা) এবং বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের এনএটিপি প্রকল্পের কনসালট্যান্ট প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে আইইবি কৃষিকৌশল বিভাগের সম্পাদক প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম শেখের (শফিক) সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেম মিয়া। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিএআরআইয়ের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা প্রকৌশলী খোকন কুমার সরকার।

বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি এখন মানবসভ্যতার প্রতি বিশ্বের অন্য যে কোনো সময়ের তুলনায় বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর বাংলাদেশ হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সর্বোচ্চ ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর একটি। বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উপকূলীয় নিচু এলাকাগুলো। সেসব এলকায় সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে লোনা পানি বেড়ে যাচ্ছে। সেসব এলাকায় মিঠা পানি কমে যাওয়ায় অনেকে বাধ্য হচ্ছে কৃষিতে পরিবর্তন আনতে।

বক্তারা আরো বলেন, সরকার লবণাক্ত এলাকার উপযোগী লবণ ও খরাসহিষ্ণু জাত উদ্ভাবনে কৃষির গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোকে গবেষণার জন্য যথেষ্ট সুযোগ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছেন। উপকূলীয় লবণাক্ত এলাকার উপযোগী ফসলের জাত গবেষণার জন্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি লবণাক্ত পানি চাষের অনুপযোগী হওয়ায় উপকূলীয় এলাকায় সীমিত আকারে প্রাপ্ত ভূপৃষ্ঠস্থ ও বৃষ্টির সাধু পানি সংরক্ষণ করে আধুনিক কলাকৌশলের মাধ্যমে, ড্রিপ, শাওয়ার সেচ, সেচ পদ্ধতি অনুসরণ করা পূর্বক শস্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে। বিভিন্ন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে শস্যে পরিমাপ মতো সেচ দেওয়া এখন সময়ের দাবি।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে এই ধরনের গবেষণা সেসব উপকূলীয় এলাকায় বসবাসকারী মানুষের ফসল উৎপাদন থেকে শুরু করে খাবার পানি ও গৃহস্থালিসহ অন্যান্য কাজে সুপেয় পানির যে সংকট রয়েছে তা কমিয়ে আনবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close