চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ১০ জুলাই, ২০১৯

চট্টগ্রামে বৃষ্টির পানি সরছে না

চট্টগ্রামে গত সোমবারের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় জমে থাকা পানি গতকাল মঙ্গলবার সারা দিনেও সরেনি। নগরীর বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার, অক্সিজেন মোড়, আগ্রাবাদ, হালিশহর, ইপিজেড রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ এলাকা, কাপাসগোলা, বাকলিয়া প্রভৃতি এলাকার প্রধান সড়ক থেকে পানি সরলেও ঘরবাড়ি অলিগলিতে এখনো হাঁটু পানি। কোথাও কোথাও কোমর সমান পানি রয়েছে। এসব এলাকায় বসবাসরতদের আশঙ্কা আবার টানা বৃষ্টিপাত শুরু হলে দুর্ভোগের আর সীমা থাকবে না।

এদিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা সুজিত চৌধুরী প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত গত ২৮ ঘণ্টায় সোমবারের তুলনায় কম বৃষ্টিপাত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ৬১.২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সোমবার ছিল ১৮৭.২ মিলিমিটার। বঙ্গোপসাগরে এখনো ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রয়েছে। সেইসঙ্গে উত্তর

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা মাছ ধরার নৌকা আর ট্রলারগুলো উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্যের কারণে সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে ঝড়ো হাওয়া। সাগরও রয়েছে বেশ উত্তাল। এ অবস্থা আরো দু-একদিন অব্যাহত থাকবে বলে পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান। এদিকে অতি ভারী বর্ষণের কারণে পাহাড় ধসের আশঙ্কা থাকায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন বিভিন্ন পাহাড়ে বসবাসরতদের আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেয়ার কাজ অব্যাহত রেখেছে। গতকাল মঙ্গলবার বায়েজিদ বোস্তামি থানার ট্যাংকির পাহাড় থেকে ১৪টি পরিবারকে জেলা প্রশাসনের স্থাপিত আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়। নগরের ১৪টি পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত ৮৩৫টি পরিবারকে চিহ্নিত করে উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close