পাবনা প্রতিনিধি
খিচুড়ি খেয়ে ১৫৮ জনের ডায়রিয়া
একজনের মৃত্যু
পাবনার সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামে মিলাদ মাহফিলের খিচুড়ি খেয়ে ১৫৮ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে নারী, পুরুষ ও শিশুসহ ৫৩ জনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গতকাল সোমবার সকালে বিথী আক্তার নামের এক মহিলা রোগীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছে চিকিৎসকরা। এর আগে রোববার সকালে ৭ম শ্রেণির স্কুলছাত্রী সুখী আক্তারের মৃত্যু ঘটেছে।
পাবনা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, শুক্রবার রাত থেকে রোববার রাত পর্যন্ত ১৫৮ জন রোগীকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। এর মধ্যে ৫৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ১০৫ জনকে বলরামপুর গ্রামে অস্থায়ী স্বাস্থ্য ক্যাম্প বসিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এর মধ্যে সুখী আক্তার গত রোববার মারা যায়। অপরদিকে বিথী আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
সোমবার ঢাকা থেকে আসা জাতীয় রোগ তত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল এবং পাবনা জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেছেন। ঢাকা থেকে আসা মেডিকেল টিম ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনেও কাজ করছেন।
জাতীয় রোগ তত্ত্ব ও রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রতিনিধি দলের সদস্য ডা. ফেরদ্দৌস জানান, আমরা তত্ত্ব পেয়েই ঢাকা থেকে রাতে পাবনা এসে পৌঁছেছি। প্রথমে হাসপাতালে রোগীদের দেখতে গেছি। এরপর সোমবার সকাল থেকে আমরা ঘটনাস্থল বলরামপুর গ্রামে আমাদের কার্যক্রম শুরু করেছি। ঘটনার উৎস এবং রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে। তবে কী কারণে বা কেন এ ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়।
এদিকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সুচিকিৎসায় ডা. শফিকুল হাসানের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুলাই পাবনা সদর উপজেলার বলরামপুর গ্রামে একটি মৃত্যুবার্ষিকীর মিলাদ মাহফিলের তবারক খিচুড়ি খাবার পর থেকে গেল গত তিন দিনে ১৫৮ জন ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত হন।
"