চট্টগ্রাম ব্যুরো

  ০৭ জুলাই, ২০১৯

চট্টগ্রামে ওরা চারজন : কোনো নারীকে একা পেলে ধর্ষণ

চট্টগ্রামে চাকরি শেষে বাড়ি ফেরার পথে কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার দুজন হলেন ওই কিশোরীকে বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক মামুন (২০) এবং যাত্রী হেলাল উদ্দিন (৩০)। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি চট্টগ্রামের কোরিয়ান ইপিজেডের (কেইপিজেড) জুতার কারখানায় চাকরি করেন। চন্দনাইশ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকেই প্রতিদিন কারখানায় যাওয়া আসা করতেন তিনি। গত শুক্রবার রাতে আনোয়ারা উপজেলার চাতরি চৌমুহনী এলাকা থেকে এই দুই লম্পটকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দুলাল মাহমুদ। গ্রেফতারের পর পুলিশ ওই দুজনের দেখিয়ে দেওয়া ধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলেও বলে জানিয়েছেন ওসি। দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘আনোয়ারায় চৌমুহনীর কালার বিবির দিঘী এলাকায় অদূরে সড়কের পাশে একটি জমিতে নিয়ে ওই মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। সে খুবই অসুস্থ ছিল। কান্নাকাটি করেও ধর্ষকদের কাছ থেকে রেহাই পায়নি।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার দুজন জানিয়েছেন, তাদের দলে চারজন। তারা কোনো মেয়েকে একা পেলে ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটায়। পরিকল্পনা বাস্তবায়নে অটোরিকশা নিয়ে আনোয়ারার চাতরি-চৌমুহনী এলাকায় দাঁড়িয়েছিলেন তারা। ওই কিশোরী বাড়ি যাওয়ার পথে তাদের অটোরিকশায় ওঠে। এরপর তাকে ওই জমিতে নিয়ে গিয়ে চারজন একের পর একজন ধর্ষণ করেন। এই ঘটনায় জড়িত বাকি দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ওসি।

এদিকে ধর্ষণের শিকার অসুস্থ কিশোরীর চিকিৎসা চলছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে।

উল্লেখ্য, গত বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষণের শিকার হয় ওই তরুণী। তাকে আনোয়ারা থানার চৌমুহনীর অদূরে কালারমার দিঘী এলাকায় অন্ধকারের মধ্যে রাস্তার ওপর মুমূর্ষু অবস্থায় পান স্থানীয়রা। পরে তাকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় অজ্ঞাতনামা চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close