নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১৭ জুন, ২০১৯

স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ

সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে সুইজারল্যান্ড ও ডেনমার্ক

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে গতকাল সচিবালয়ে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি এসট্রাপ পিটারসেন এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেনে হোলেনস্টেইন সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দুই দেশের রাষ্ট্রদূত বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করেন এবং সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডেনমার্ক : রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের সঙ্গে ডেনমার্কের সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো মন্ত্রীকে অবহিত করেন। ওই সময় রাষ্ট্রদূত জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে ৩৬টি মিনি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে এবং সায়েদাবাদে আরেকটি পানি সরবরাহ প্ল্যান্ট বাস্তবায়নে ডেনমার্ক সহযোগিত করছে। রাষ্ট্রদূত আরো জানান, তারা বাংলাদেশের সঙ্গে ডানিডা বিজনেস ফাইন্যান্স নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী। পানি সরবরাহের জন্য পদ্মা প্রজেক্ট এবং মিল্কভিটার সঙ্গে ডেনিস মিল্ক কোম্পানির কাজ করার সুযোগ রয়েছে।

ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উপকূলীয় অঞ্চলে উইন্ড এনার্জি তথা বায়ু হতে শক্তি উৎপাদনে সহযোগিতা করার প্রস্তাব করেন। তিনি বলেন, এগুলো ছোট কিন্তু কার্যকরী। ডেনমার্ক বায়ুশক্তির ওপর নির্ভরশীল। মন্ত্রী এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ সময় ডেনমার্ক দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর জেকব কাহল জেপসেন এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী ডেনমার্কের অব্যাহত সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে তা অব্যাহত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সুইজারল্যান্ড : সাক্ষাতকালে রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে জানান বাংলাদেশের উন্নয়নে সুইজারল্যান্ড অন্যতম অংশীদার। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তারা কাজ করছে। কক্সবাজাওে রোহিঙ্গাদের জন্য সুইস কার্যক্রম সম্পর্কেও রাষ্ট্রদূত মন্ত্রীকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রদূত জানান, তারা বাংলাদেশে কর ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করতে চায় এবং বাংলাদেশের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী।

সৌজন্য সাক্ষাতে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশে জনস্বাস্থ্য, নগর উন্নয়ন, পল্লী উন্নয়নে সুইজারল্যান্ডের ভূমিকা উৎসাহব্যঞ্জক। সুইজারল্যান্ডের অব্যাহত সহযোগিতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন। জনস্বাস্থ্য, নগর উন্নয়ন ও পল্লী উন্নয়নে তাদের ভূমিকা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করারও আহবান জানান।

সাক্ষাৎকালে সুইস দূতাবাসের সহযোগিতাবিষয়ক উপপরিচালক ডেরেক জর্জ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পিত উন্নয়নে সেবা প্রাপ্তি সহজ হয় : স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, পরিকল্পিত নগর উন্নয়ন নাগরিকদের সেবা প্রাপ্তি সহজ করে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে কুমিল্লা জেলার লাকসাম পৌরসভা এবং চীনের সিংহুয়া বিশ^বিদ্যালয়ের মধ্যে স্মার্ট অ্যান্ড সেফ সিটি ফেজিবিলিটি স্টাডি (পাইলট প্রজেক্ট) প্রকল্প বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

১৯৮৬ সালে তার প্রথম চীন সফর এবং বর্তমান চীনের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষত পরিকল্পিত নগর উন্নয়নে চীন অভূতপূর্ব উন্নতি করেছে। চীনের এই বিশ^বিদ্যালয়ের গবেষণা আমাদের এ ব্যাপারে সহায়ক হতে পারে।

সমঝোতা স্মারকে লাকসাম পৌরসভার পক্ষে সই করেন লাকসাম পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের এবং চীনের সিংহুয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক সেফটি রিসার্চের সহকারী ডিন ইয়াংসিয়া ল্যাং। এ সময় স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ হবে এক বছর তবে উভয়পক্ষের লিখিত সম্মতিতে তা বাড়তে পারে। সমঝোতা স¥ারক মোতাবেক সিংহুয়া বিশ^বিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পাবলিক সেফটি রিসার্চ সহযোগিতার সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করবে। কীভাবে লাকসাম পৌরসভায় ডিজিটাল সেবাগুলো দেওয়া যায় এবং সমন্বিত কেন্দ্রীয় কমান্ড সিস্টেম চালু করা যায় তা নির্ণয় করবে।

সমঝোতা স্মারক মোতাবেক কর ব্যবস্থাপনা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির আধুনিকায়নসহ জনসাধারণের সেবার মান বৃদ্ধি করার উপায়গুলো নিয়ে গবেষণা করা হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close