নোয়াখালী প্রতিনিধি

  ১৩ জুন, ২০১৯

হাসপাতালের ছাদেই লাশের ময়নাতদন্ত!

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য স্থায়ী কোনো মর্গ না থাকায় হাসপাতাল ভবনের ছাদে ত্রিপল দিয়ে ঘিরে কয়েক বছর ধরে চলছে লাশের কাটাছেঁড়া। জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই হাসপাতালে লাশ রাখারও কোনো ব্যবস্থা নেই। এ অবস্থায় হাসপাতালের ছাদেই চলছে ময়নাতদন্ত।

সরেজমিন দেখা যায়, ময়নাতদন্তের জন্য আনা লাশ ময়লা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে হাসপাতালের তিন নম্বর ওয়ার্ডের পাশে রাখা হয়। ফলে অপঘাতে নিহত লাশের দুর্গন্ধে প্রায়ই হাসপাতাল ও এলাকার পরিবেশ দুর্গন্ধময় হয়ে উঠে। জানা যায়, হাসপাতালের গোড়াপত্তনের পর থেকে জেলা কারাগার সড়কের পাশের একটি কাঁচা ঘরকে মর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হতো। সে মর্গটি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেটি এখন আর ব্যবহার করে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ অবস্থায় হাসপাতালের ছাদের ওপর ত্রিপল দিয়ে ঘিরে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে করা হচ্ছে লাশের ময়নাতদন্ত।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে এখানে ২১৭টি লাশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য প্রতি মাসে গড়ে ২০-২৫টি লাশ আসে। হাসপাতালের নিজস্ব কোনো ডোম নেই। নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের দুজন ডোম এসে লাশ কাটার কাজ করেন এখানে।

হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পুরোনো লাশ কাটা ঘরটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় অস্থায়ীভাবে ছাদের ওপরে লাশের ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে নোয়াখালী গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কামরুল হাসান জানান, ৪৮ লাখ টাকা ব্যায়ে জেনারেল হাসপাতালের লাশ কাটা ঘরের নির্মাণকাজ চলছে। আশা করছি আগামী এক দেড় মাসের মধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close