সংসদ প্রতিবেদক

  ১২ জুন, ২০১৯

‘স্বল্প আয়ের মানুষের আবাসনে কাজ করছে সরকার’

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রত্যেক নাগরিকের বাসস্থান নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আবাসনের লক্ষ্যে সমন্বিত বেশ কিছু প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। কাজটি বাস্তবায়নের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীন জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষগুলো সম্পৃক্ত রয়েছে।

সংসদের বাজেট অধিবেশনে গতকাল মঙ্গলবার মহিলা এমপি মমতাজ বেগমের এক মৌখিক প্রশ্নের জবাবে সংসদে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এ তথ্য জানান। জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকালে এ অধিবেশন শুরু হয়।

মন্ত্রী বলেন, প্রত্যেক নাগরিকের বাসস্থান নিশ্চিতে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর সদর, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, মাগুরা, কুষ্টিয়া, যশোর, নড়াইল, পাবনা, বগুড়া, দিনাজপুর, রংপুর, ঈশ্বরদী, নাটোর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সৈয়দপুর, শান্তাহার, জয়পুরহাট, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, চাঁদপুর, কুমিল্লা, মৌলভীবাজার, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য আবাসিক প্লট উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং বরাদ্দ প্রাপকদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বর্তমানে ১৬টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্প এবং ১৫টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এসব প্রকল্পে মোট ২৪৭২টি আবাসিক প্লট এবং ৭২৯৫টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মিত হবে। এ ছাড়া ৫টি প্লট উন্নয়ন প্রকল্প এবং ১০টি ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন।

গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকদের জন্য ঢাকাস্থ ১৮নং সেক্টরে অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের ‘এ’ ব্লকে ৭৯টি ১৬ তলা ভবনে ১৬৫৪ বর্গফুট আয়তনের ৬৬৩৬টি অ্যাপার্টমেন্টের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে। তাছাড়া ‘বি’ ও ‘সি’ ব্লকে ৫২টি করে ১৬ তলাবিশিষ্ট ভবন নির্মিত হবে; যেখানে দুটি ব্লকেই ৪৩৬৮টি করে ফ্ল্যাটের সংস্থান হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দেশের প্রথম কর্মজীবী নারীদের জন্য সল্টগোলায় ডরমেটরি নির্মাণসহ অন্যান্য প্রকল্প সম্পন্ন করেছে। এ ছাড়া উপশহর, ফতোয়াবাদ নিউ টাউনশিপ, সিলিমপুর আবাসিক প্রকল্প ও বেভিউ স্মাটসিটি প্রকল্পসমূহ প্রক্রিয়াধীন।

খুলনাতে ৯টি আবাসিক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সেখানে স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তরা প্লট বরাদ্দ পেয়েছে। ওই এলাকায় স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ৩টি আবাসিক এলাকা তৈরি করে প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। আর রাজশাহীতে দেশের স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তদের আবাসনের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে আবাসিক এলাকা উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। প্রকৃত ব্যয়ের ভিত্তিতে মূল্য নির্ধারণ করে ক্যাটাগরি অনুসরণপূর্বক আবাসিক প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়। সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্বল্প ও মধ্যম আয়ের জনগোষ্ঠীর আবাসনের লক্ষ্যে স্ব-অর্থায়নে ৭টি আবাসিক-বাণিজ্যিক উন্নয়ন প্রকল্পে মোট ১৭১টি প্লট বরাদ্দ প্রদান করেছে। বিশেষ করে স্বল্প আয়ের মানুষ ও মধ্যবিত্তদের জন্য ছায়ানীড় আবাসিক এলাকায় ২২৬টি প্লট বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। স্ব-অর্থায়নে বর্তমানে বারণই আবাসিক এলাকা উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে; সেখানে ২০৫টি প্লটের সংস্থান থাকবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close