আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১০ জুন, ২০১৯

ওয়েব কি এখন একটি ‘নিয়ন্ত্রণহীন দানব’?

৩০ বছর আগের মার্চ মাসে একজন ব্রিটিশ সফটওয়্যার প্রকৌশলী বিজ্ঞানীদের জন্য তথ্য আদান-প্রদানের এক পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছিলেন, যা পরবর্তী সময়ে গোটা মানবসমাজের ইতিহাসই পাল্টে দেয়। এটি এখন পরিচিত ‘ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব’ নামে। তিন যুগ পর এসে এর উদ্ভাবক টিম বার্নার্স লি বলছেন, তার সৃষ্টি ধোঁকাবাজরা ছিনতাই করেছে, যা গোটা ব্যবস্থাটিকেই এখন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সুইজারল্যান্ডের জেনেভার কাছে অবস্থিত সার্ন ল্যাবরেটরিতে কাজ করার সময় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব উদ্ভাবন করেছিলেন বার্নার্স লি। তবে সেখানে যে ইতিহাস তৈরি হয়েছিল তা ধরে রাখার জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো ব্যবস্থা নেই। আছে শুধু ছোট্ট একটি স্মারক ফলক, আর দরজায় সাঁটানো আছে সার্নের পুরোনো ডিরেক্টরির একটি পাতা। বার্তা সংস্থা ডয়েসে ভেলে গতকাল রোববার এ খবর জানায়।

বার্নার্স লি ১৯৯৪ সালে সার্ন ছেড়ে ‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’তে যোগ দেন। এরপর সার্নের ল্যাবের দায়িত্ব পান ফ্রঁসোয়া ফ্লুকিগার। বার্নার্স লি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘টিম ভীষণ পরিশ্রম করতেন। তার ঘরে সবসময়ই আলো জ্বলত।’

বার্নার্স লির লক্ষ্য ছিল এমন এক ব্যবস্থা চালু করা, যার সাহায্যে ল্যাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েক হাজার বিজ্ঞানী তাদের কাজ আদান-প্রদান করতে পারবেন। সেখান থেকেই ওয়েব ব্যবস্থার জন্ম। কম্পিউটারের মধ্যে নেটওয়ার্ক যোগাযোগের পদ্ধতি চালু থাকলেও ওয়ার্ল্ড য়াইড ওয়েবই ব্রাউজার দিয়ে ওয়েব পেজগুলোতে ঢোকার ব্যবস্থা করেছিল। বার্নার্স লি ১৯৯০ সালে সার্নের প্রথম ওয়েব নেভিগেটর সার্ভারটি চালু করেন, যা সার্নের বাইরে ১৯৯১ সালে অবমুক্ত করা হয়। প্রথমে বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পরে সাধারণ মানুষের কাছে তা পৌঁছে গিয়েছিল।

ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের উদ্ভাবনকে ২০ শতকের তিনটি প্রধান আবিষ্কারের একটি বলে মনে করেন ফ্লুকিগার। কিন্তু অনলাইনে হয়রানি, ভুয়া খবর, ‘ম্যাস হিস্টেরিয়া’ আর ব্যক্তিগত গোপনীয়তা হুমকির মখে পড়ায় তিনি হতাশ। তার মতে, এখনই কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হলে শেষ পর্যন্ত এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া এক দানবে পরিণত হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close