নিজস্ব প্রতিবেদক

  ২১ মে, ২০১৯

পান দোকানদারও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রাজপথ!

একটি মোটরসাইকেল বা গাড়ি কিনে মুঠোফোনে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ডাউনলোড করে যে কেউই নেমে পড়ছেন ঢাকার রাস্তায়। এমনকি এক সময়ের রিকশাচালক, পান সিগারেটের দোকানদার কিংবা গ্রামের বেকার যুবকও এখন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকার রাজপথ। এ কারণে রাজধানীতে ভয়াবহভাবে বেড়ে গেছে মোটরসাইকেলের সংখ্যা, সঙ্গে দুর্ঘটনাও।

রায়ের বাজার এলাকায় এক সময় রিকশা চালাতেন মোকলেস নামের এক যুবক। গত এক বছর হলো রিকশা বাদ দিয়ে তিনি এখন পাঠাও এর বাইক চালক। তবে তার কোনো ড্রাইভিং লাইসেন্সও নেই।

জিয়াউর রহমান নামে আরেক যুবকের গল্পটাও মোকলেসের মতোই। গ্রামের কাপড়ের দোকানে লাভ হচ্ছিল না খুব একটা। তাই দোকান বিক্রি করে মোটরসাইকেল কিনে তিনিও এখন দিনভর বাইক চালান। একই অবস্থা লাখো বাইক ও কার চালকের।

বিপুল জনসংখ্যার এই দেশে কর্মসংস্থান নিশ্চয়ই বড় চ্যালেঞ্জ, সেই জায়গা থেকে রাইড শেয়ারিং অ্যাপগুলো কিছু মানুষের কর্মসংস্থান করেছে এটি যেমন সত্য, তেমনি এটিও সত্য যে নতুন চালকদের অদক্ষতায় মাঝে মাঝেই ঘটছে দুর্ঘটনা।

রাইড শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহারকারী বলেন, অনেক চালক আছে যারা ঠিকমতো চালাতে পারে না। যানজট, সিগন্যাল কিছুই তারা মানে না। এমন অবস্থার পরও রাইড শেয়ারিং কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা রাস্তায় কিংবা তেলের পাম্পে বাইক ও কারগুলো এখনো নিবন্ধন করে নিচ্ছেন ইচ্ছামতো।

নামটি রাইড শেয়ারিং হলেও রাইড শেয়ারের বদলে এখন হাজার হাজার চালক বেশি আয়ের আশায় অ্যাপের নিয়ম ভেঙে চলছেন চুক্তিতে।

পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কোম্পানিগুলো চালকদের শুধু নিজেদের অ্যাপ ব্যবহারবিধি শেখায় কিন্তু ড্রাইভিং ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করে না। যে কারণে দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমছে না।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ সাইফুন নেওয়াজ বলেন, ঢাকা শহরের পরিবেশের সঙ্গে রাস্তার নিরাপত্তা, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে তাদের জানা শোনা না থাকায় দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে।

ঢাকার রাস্তায় শুধু বাইকের মাধ্যমে কত লাখ চালক রাইড শেয়ারিংয়ে যুক্ত আছেন তার হিসাব নেই কারো কাছে। কতজন বাইক চালক পাঠাওতে যুক্ত আছেন তা জানতে টানা তিন দিন চেষ্টা করেও পাঠাও এর কাছ থেকে মেলেনি তথ্য।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close