সংসদ প্রতিবেদক

  ২০ মে, ২০১৯

সংসদীয় কমিটির বৈঠক

দুই সার-কারখানা একত্র করার তাগিদ

ঘোড়াশাল ও পলাশ এ দুটিকে একটি করে অধিক ক্ষমতাসম্পন্ন সার-কারখানা নির্মাণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। সরকার চাইছে এ কারখানার মাধ্যমে বছরে অন্তত ৯ কোটি ২৪ লাখ টন সার উৎপাদন সম্ভব। এ লক্ষ্য নির্ধারণ করে আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে দুটি কারখানাকে একত্রিত করার বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত রয়েছে।

গতকাল রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত

সংসদীয় কমিটির সভায় আলোচনায়ান্তে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। স গণসংযোগ-২ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতেও এ ধরনের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অংশ নেন কমিটির সদস্য শিল্পপতি মন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এ কে এম ফজলুল হক, হাবিবুর রহমান মোল্লা, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ এবং পারভীন হক সিকদার। এ ছাড়া শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

সভা সূত্রে জানা যায়, সার বিতরণ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে গতকালের সভায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, ঘোড়াশাল সার-কারখানা ও পলাশ সার-কারখানা এ দুটি আলাদা থাকায় উৎপাদন কম হচ্ছে। উৎপাদন বাড়াতে এ দুটি একত্রিত করা হবে। এর জন্য সরকারের তহবিল থেকে ব্যয় হবে ১০,৪৬,০৯১ লাখ টাকা। সরকার চাইছে, দুটি সার-কারখানাকে একত্রিত করা হলে বর্তমানের চেয়ে অধিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। যার মাধ্যমে দেশে কৃষি উৎপাদনে যে সারের চাহিদা রয়েছে, তা দিয়েই ভালো ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হবে। এই সার-কারখানার বার্ষিক উৎপাদন দাঁড়াবে ৯ দশমিক ২৪ লাখ টন। আগামী ২০২২ সালের জুনের মধ্যে উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া প্রকল্প স্থাপন হবে।

সভায় শিল্প-কারখানাগুলোর উৎপাদনে যাতে কোনো ধরনের বিঘœ না সৃষ্টি হয়, সেজন্য কমিটির পক্ষ থেকে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহের সুপারিশ জানিয়েছে কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শিল্প-কারখানার উৎপাদন ভালো হলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হবে।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close