চট্টগ্রাম ব্যুরো
বেড়েছে হত্যাকাণ্ড নেপথ্যে মাদক
মাদক ব্যবসা ও সেবনকে কেন্দ্র করে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে হত্যাকান্ডের ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। বিশেষ করে ইয়াবার ব্যবসা নিয়ন্ত্রণহীন হওয়ায় বাড়ছে সংঘাত, হত্যাকান্ড। চলতি বছরের প্রথম চার মাসে খুন হয়েছে অন্তত ৪০ জন। এর মধ্যে চলতি মাসেই পাঁচজন নিহত হয়েছে। অবাধে মাদক ব্যবসা এবং সেবনের ফলে সামাজিক বন্ধন ছিন্ন হয়ে হানাহানি বাড়ছে বলে মনে করছেন সমাজবিজ্ঞানীরা। তবে পুলিশ বলছে, হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে অধিকাংশ অভিযুক্তকে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, নগরীর ১৬টি থানায় গত সাড়ে চার মাসে খুনের ঘটনা ঘটেছে ৪০টি। এর বাইরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে আরো দুজন। এর অধিকাংশই সরাসরি মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবন সংক্রান্ত হত্যাকান্ড।
সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, ‘বিচার প্রক্রিয়া যদি ত্বরান্বিত করা যায়, যদি অপরাধীরা জেলেই থাকে, জামিন না পায়, তা হলে এই ঘটনাগুলো কমানো যাবে।’
চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন বলেন, ‘মাদকের আসামিরা ৬ মাসের আগে জামিন পায় না।’ মিয়ানমার থেকে পাচার হয়ে আসা ইয়াবা ট্রানজিট পয়েন্ট চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে ছড়াচ্ছে সারা দেশে। এখানে মাদক ব্যবসায়ীর সংখ্যা যেমন বেশি, তেমনি ব্যবহারকারীর সংখ্যাও ব্যাপক। এসব মাদকসেবীই হিতাহিত জ্ঞান শূন্য হয়ে খুন করছে বলে মনে করছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম জাহাঙ্গীর।
সমাজবিজ্ঞানীদের মতে, অতিরিক্ত মাদক ব্যবসা এবং সেবনের ফলে সামাজিক বন্ধনগুলো ক্রমেই ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে। এতে বাড়ছে হানাহানি।
বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এম এফ ইমাম আলী বলেন, ‘মাদক সেবনকারী পরিবারের পরেও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে। সার্বিকভাবে সমাজজীবনেও প্রভাব ফেলছে।’
পুলিশের দাবি, নগরীতে গত সাড়ে চার মাসে মাদক ব্যবসা এবং মাদকাসক্তের হাতে ঘটে যাওয়া প্রতিটি হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচনের পাশাপাশি গ্রেফতার করা হয়েছে অধিকাংশ অভিযুক্তকে।
"