কক্সবাজার ও মেহেরপুর প্রতিনিধি

  ১২ মে, ২০১৯

কক্সবাজার-মেহেরপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩

কক্সবাজার শহরে বন্দুকযুদ্ধে একজন আর টেকনাফে দুদলের গোলাগুলিতে আরেকজন নিহত হয়েছেন; যারা মাদক ব্যবসায়ী বলে পুলিশের ভাষ্য। আর মেহেরপুরে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি মারা গেছেন পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’। গতকাল শনিবার ভোরে ও শুক্রবার রাতে এসব ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার সদর থানার ওসি খন্দকার ফরিদ উদ্দিন জানান, শনিবার ভোরের দিকে কক্সবাজার শহরের কলাতলীর কাটাপাহাড় এলাকা থেকে পুলিশ গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির লাশসহ অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার করে। তার বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। স্থানীয়দের কাছে দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মাদক ব্যবসায়ীরা ঘটনাস্থলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে। ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির পাশ থেকে সাড়ে ৩০০ ইয়াবা, একটি বন্দুক, দুটি গুলি ও তিনটি গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক কারবারিরা নিজেদের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্বের জেরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটনায় বলে পুলিশের ধারণা।

এদিকে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলছেন, শনিবার ভোরের দিকে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুদু মিয়া নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। দুদু মিয়া টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের নাজিরপাড়ার সুলতান আহমদের ছেলে।

ওসি প্রদীপ বলেন, শুক্রবার বিকেলে দুদু মিয়াকে পুলিশের একটি দল গ্রেফতার করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তৈরি তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী দুদু মিয়া। ভোরে তাকে নিয়ে পুলিশ সাবরাং ইউনিয়নের মু-ারডেইল এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চালায়। এ সময় দুদুর সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে অতর্কিতে গুলি ছোড়ে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। পরে তারা পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে দুদু মিয়াকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মেহেরপুরে নিহত স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও গৃহবধূকে অ্যাসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি ইয়াকুব আলী গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের জালাল উদ্দীন হাবুর ছেলে।

গাংনী থানার পরিদর্শক তদন্ত সাজেদুল ইসলাম জানান, নিহত কাজল গাংনীর ধলা গ্রামের এক গৃহবধূকে গত বৃহস্পতিবার অ্যাসিড নিক্ষেপ করে। ওই রাতেই পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে অ্যাসিড নিক্ষেপের অপরাধ স্বীকার করে। তার নেতৃত্বে গাড়াডোব গ্রামের বেশ কয়েক যুবক বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত। তাদের কাছে বেশ কয়েকটি অস্ত্র রয়েছে বলেও স্বীকারোক্তি দেয়। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক অস্ত্র উদ্ধারে গাড়াডোব গ্রামে যায় পুলিশের একটি দল। এ সময় কাজলের লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলিতে দুই পুলিশসহ কাজল আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে কাজলকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ আরো জানায়, গেল বছরের ২০ ডিসেম্বর গাড়াডোব গ্রামের এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে কাজলসহ কয়েকজন। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা বাদী হয়ে গাংনী থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর থেকে কাজল ধলা গ্রামে তার নিকটাত্মীয় সেলিম হোসেনের বাড়িতে আত্মগোপনে ছিল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close