সোনাগাজীতে অধ্যক্ষ কর্তৃক মাদরাসাছাত্রী নুসরাত ধর্ষণ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ওসি মোয়াজ্জেমকে সাময়িক বরখাস্ত করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করায় রংপুর অঞ্চলের মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তারা অভিযুক্ত ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং প্রত্যাহারের দাবিতে গতকাল শনিবার দুপুরে রংপুর মহানগরীর লালবাগ মোড়ে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে। তাকে জুতা প্রদর্শন করে মিছিল হয়েছে। বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আয়োজনে সমাবেশে ছাত্রনেতা আরিফুর রহমান আরিফ ও রবিউল ইসলাম বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর বিভাগ থেকে ওসি মোয়াজ্জেমকে প্রত্যাহার করা না হলে বৃহত্তর ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

বক্তারা প্রশ্ন করে বলেন, মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহানকে ধর্ষণ ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত ওসি মোয়াজ্জেমকে কেন বেগম রোকেয়ার পুণ্যভূমিকে কলঙ্কিত করতে তাকে রংপুর ডিআইজি রেঞ্জে সংযুক্ত করা হলো? তাকে রংপুরবাসী প্রত্যাখ্যান করেছে। সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ওসিকে জুতা প্রদর্শন করে মহানগরীর প্রধান প্রধান সড়কে মিছিল করে।

এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মানবাধিকার কর্মী মিলি মায়া বলেন, ধর্ষণে অভিযুক্ত রংপুর রেঞ্জ কেন? এ দেশের কোনো জায়গাতে এই অযোগ্যকে চেয়ার প্রদান করা যাবে না। নারীরা এই অযোগ্যদেও কাছে নিরাপদ নয়। তাই অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার দাবি জানান তিনি। বেরোবি বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, তাকে বরখাস্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক তৌহিদুর রহমান টুটুল বলেন, রংপুরের জনগণ তাকে মেনে নিচ্ছে না। তাকে আমরা আর রংপুরের মাটিতে দেখতে চাই না।

প্রসঙ্গত, পুলিশ সদর দফতরের গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন আপাতত বেতন, ভাতা ও পদ অনুযায়ী সুযোগ সুবিধায় রয়েছেন। এখন শুধু নিয়ম অনুযায়ী খোরাক ভাতা পাবেন বলে নিশ্চিত করেছেন পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক (মিডিয়া) সোহেল রানা।

"