আন্তর্জাতিক ডেস্ক

  ১২ মে, ২০১৯

এভারেস্ট চূড়া ময়লামুক্ত হচ্ছে

সেনাবাহিনীর সাহায্য নিয়ে গত এপ্রিল মাস থেকে হিমালয়ে আবর্জনা পরিষ্কার শুরু করেছে নেপাল প্রশাসন। এতে এরই মধ্যে পাঁচ টন, অর্থাৎ কি না, পাঁচ হাজার কেজি জঞ্জাল উদ্ধার হয়েছে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ থেকে। প্রশাসনের দাবি, প্লাস্টিক থেকে জৈব বর্জ্য, প্রায় কয়েক দশক ধরে পড়ে রয়েছে ওইসব আবর্জনা। অভিযাত্রীদেরই এর জন্য দায়ী করেছে প্রশাসন। নেপালের পর্যটন দফতরের পরিচালক জেনারেল ডান্ডু রাজ ঘিমিরে বলেন, ‘গত ১৪ এপ্রিল শুরু হয়েছিল অভিযান। ৮ মে পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার কেজি বর্জ্য পাওয়া গেছে। আকাশপথে ওই আবর্জনা সরিয়ে আনছেন সেনা।’ সবকিছু পরিকল্পনামাফিক চললে জুনের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই অভিযান শেষ হবে। ঘিমিরে বলেন, ‘আবর্জনার স্তূপে কী নেই! অক্সিজেন সিলিন্ডার, টিনের পাত্র, প্লাস্টিক ব্যাগ, জিনিসপত্র আরো কত কী। মানব-বর্জ্যও রয়েছে।’

১৪ এপ্রিল নেপালি নববর্ষ শুরু। ওই দিনই ৪৫ দিনব্যাপী ‘স্বচ্ছ এভারেস্ট অভিযান’ শুরু হয়। অভিযানের পেছনে রয়েছে সোলুখুম্বু জেলার খুম্বু পাসাংলামু রুরাল মিউনিসিপ্যালিটি। তাদের অনুমান, সব মিলিয়ে অন্তত ১০ হাজার কেজি আবর্জনা পাওয়া যাবে এভারেস্ট থেকে। এভারেস্টের পথে আটকে পড়ে মারা যাওয়া অভিযাত্রীদের মৃতদেহও উদ্ধার করা হচ্ছে। এরই মধ্যে চারটি দেহ চিহ্নিত করেছে উদ্ধারকারী দল। এভারেস্ট জয়ের মতো সাফাই অভিযানেও আগে থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এভারেস্ট বেস ক্যাম্পে জল, খাবার, তাঁবুÑ সব জোগাড় করা হয়েছে। সেই সঙ্গে হেলিকপ্টার ও দক্ষ পর্বতারোহী। সব মিলিয়ে খরচ পড়বে অন্তত ২ কোটি ৩০ লাখ নেপালি অর্থ।

প্রতি বছর, কয়েক শ অভিযাত্রী ও শেরপা এভারেস্ট অভিযানে যান। অধিকাংশ ক্ষেত্রে অক্সিজেন সিলিন্ডার, বেঁচে যাওয়া খাবার, বিয়ারের বোতল ফেলে রেখে চলে আসেন তারা। আবর্জনার এই স্তূপ থেকে হিমালয়কে বাঁচাতে মরিয়া নেপাল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close