নিজস্ব প্রতিবেদক

  ১১ মে, ২০১৯

লাইফ সাপোর্টে এটিএম শামসুজ্জামান

রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে রয়েছেন বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান। গতকাল শুক্রবার রাত ৯টা পর্যন্ত তার অবস্থা ছিল স্থিতিশীল। তবে তার পরিবার জানায়, বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দিতে পারলে ভালো হতো।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকেও সবুজসংকেত পেয়েছে এটিএম পরিবার। তবে এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরো দু-এক দিন। কারণ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাজ্য সফর থেকে দেশে ফেরবেন ১১ মে দুপুর নাগাদ। তিনি দেশে ফিরলেই এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত আসবে বলে আশা করছেন এটিএম শামসুজ্জামানের স্ত্রী রুনি জামান।

এদিকে তাকে বিদেশে নিয়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার দুপুরে আজগর আলী হাসপাতালে আসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তার সঙ্গে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়–য়া। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ডা. সামন্ত লাল সেনের আগে সুবীর নন্দীর বিদেশে চিকিৎসার বিষয়টিও সমন্বয় করেছিলেন।

এটিএম শামসুজ্জামানকে দেখার পর ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, ‘তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য কিন্তু আমি হাসপাতালে যাইনি। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ক সেই ১৯৮০ সাল থেকে। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর আগেও একবার গিয়েছি দেখতে। আজও গেলাম।’

তিনি জানান, এটিএম শামসুজ্জামান এখনো লাইফ সাপোর্টেই আছেন। ‘অবস্থা খারাপও না, আবার ভালোও না। বয়স হলে যা হওয়ার, তাই আরকি।’

এদিকে এটিএম শামসুজ্জামানকে বিদেশে নেওয়ার প্রয়োজন আছে কি এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘এটা এমন একটা সেনসিটিভ ইস্যু, কিছু বলাটাও মুশকিলের বিষয়। তার ওপর আমি এই সাবজেক্টের ডাক্তারও না। তারপরও ব্যক্তিগত সম্পর্কের জায়গা থেকে গিয়েছি। এখন দেশের বাইরে নিলে ভালো। আবার দেশের চিকিৎসাও যে খারাপ, তা নয়। কারণ এখন আমরাই অনেক উন্নত চিকিৎসা দিতে পারি। পার্থক্যটা হলো বাইরের বিশেষ হাসপাতালগুলোতে নানাবিধ সুবিধা একটু বেশি।’

দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা অসুখে ভুগছেন এটিএম শামসুজ্জামান। কিংবদন্তি এ অভিনেতাকে ২৬ এপ্রিল রাতে রাজধানীর আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই হাসপাতালে ২৭ এপ্রিল এই অভিনেতার শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে তাকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়।

এ টি এম শামসুজ্জামানের মেয়ে কোয়েল আহমেদ জানান, সে সময় নিউমোনিয়ায়ও আক্রান্ত হন এ অভিনেতা। রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত গতকাল রাত ৯টায় এ টি এম শামসুজ্জামানের অবস্থা ছিল স্থিতিশীল।

এ টি এম শামসুজ্জামানের চলচ্চিত্র জীবনের শুরু ১৯৬১ সালে পরিচালক উদয়ন চৌধুরীর ‘বিষকন্যা’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে। প্রথম কাহিনি ও চিত্রনাট্যকার হিসেবে কাজ করেছেন ‘জলছবি’ ছবিতে। এ পর্যন্ত শতাধিক চিত্রনাট্য ও কাহিনি লিখেছেন। প্রথমদিকে কৌতুক অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন তিনি।

অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র পর্দায় আগমন ১৯৬৫ সালের দিকে। ১৯৭৬ সালে চলচ্চিত্রকার আমজাদ হোসেনের ‘নয়নমণি’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন তিনি। নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য আজও তিনি দর্শকের কাছে নন্দিত।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close