বগুড়া প্রতিনিধি

  ২৪ এপ্রিল, ২০১৯

দেশীয় কৃষিযন্ত্রে প্রয়োজন আধুনিকায়ন

দেশের কৃষিকাজ ৯৫ শতাংশ হয়ে থাকে যন্ত্রের মাধ্যমে। একসময় সনাতন পদ্ধতিতে চাষাবাদ হলেও দিনবদলের সঙ্গে সঙ্গে কৃষকের জীবনযাত্রার মান যেমন বেড়েছে, তেমনি পরিবর্তন এসেছে কৃষিকাজেও। কৃষিযন্ত্রের রয়েছে আকার অনুযায়ী নানা প্রকারভেদ।

দেশের ৮০ ভাগ কৃষিভিত্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি যন্ত্রাংশ বগুড়ায় তৈরি হলেও সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তারা আজ টিকতে পারছেন না। যুগের পর যুগ পার হলেও আধুনিকায়নে ছোঁয়া লাগেনি এ শিল্পে। ফলে বিদেশি যন্ত্রাংশ বাজার দখল করে নিচ্ছে। আর নতুন উদ্যোক্তারা এ শিল্পে এগিয়ে আসতে চাইলে জায়গার অভাবে তাদের স্বপ্ন অংকুরেই বিনষ্ট হচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট জায়গা এবং ব্যাংক ঋণ সহজ করলে এ শিল্প দেশীয় অর্থনীতিতে বড় স্থান করে নিতে পারবে বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা। বগুড়া পৌর এলাকার ফুলবাড়ীতে ১৯৬৪ ও ১৯৮০ সালে দুই দফায় ৩৩ একর জমিতে গড়ে ওঠে বিসিক শিল্পনগরী। এ শিল্পনগরীর শুরুতেই ২৩০টি প্লটের মধ্যে ৯২টিতে ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। কৃষি যন্ত্রপাতি তৈরিসহ বিভিন্ন কারখানায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার পণ্য তৈরি হলেও এর উন্নয়নে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। জায়গার অভাবে নতুন উদ্যোক্তারাও বিনিয়োগ করতে পারছেন না। এছাড়া নানা সমস্যায় জর্জরিত শিল্প মালিকরাও। এক তরুণ উদ্যোক্তা জানান, এখানে সবচেয়ে বড় সমস্যা জায়গার সংকট। এক্ষেত্রে সরকার একটু নজর দিলে আমাদের জন্য ভালো হবে। কৃষিযন্ত্রের একজন ব্যবসায়ী জানান, বিদেশি পণ্যের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে আমাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে গেছে। ব্যবসায়ী নেতারা এ শিল্পের আধুনিকায়ন এবং দক্ষ কারিগরের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন। বগুড়া শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি আবদুল মালেক বলেন, আমরা এখনো পুরোনো পদ্ধতিতে কাজ করছি। এখানে আধুনিকায়ন করা সম্ভব না হলে আমাদের টিকে থাকা কঠিন হয়ে যাবে।

জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহম্মেদ জানান, দ্বিতীয় বিসিক শিল্পনগরীর প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া অর্থনৈতিক জোন বাস্তবায়ন হলে নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য দ্বার খুলে যাবে। শাহজাহানপুর এলাকার মধ্যে একটা ইকোনকিম জোন করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সেখানে এই শিল্পসহ আরো অনেক শিল্প হতে পারে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) পরিচালক শেখ মো. নাজিম উদ্দিন প্রতিদিনের সংবাদকে বলেন, এ ধরনের শিল্পে সরকার সব সময় দেশীয় শিল্পোদ্যোক্তাকে স্বাগত জানায়। দেশীয় বড় বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো এগিয়ে এলে আমরা তাদের শিল্পের বিকাশকে সহযোগিতা করব। ফলে দেশীয় শিল্প বিকশিত হবে। একই সঙ্গে এই শিল্পকে হতে হবে টেকসই এবং মূল্য সংবেদনশীল।

"

প্রতিদিনের সংবাদ ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
আরও পড়ুন
  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়
close