ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ভাঙারির দোকানে ৩৮ মণ সরকারি বই!
৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এক ভাঙারির দোকানে ৩৮ মণ সরকারি বইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিয়ে উপজেলাজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবীনগর উপজেলা সদরের তিতাস নদীরতীর সংলগ্ন শহীদ মিয়ার ভাঙারির দোকানে গত শনিবার দুপুরে একাধিক ভ্যানগাড়ি থেকে অসংখ্য বই নামাতে দেখেন স্থানীয়রা। এরপরই বইগুলো নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে কৌতুহল দেখা দেয়। বইগুলো উপজেলার ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে আনা হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এসব বইয়ের মধ্যে ২০১৫ থেকে ২০১৭ সালের অনেক বইও রয়েছে।
ভাঙারি দোকানদার শহীদ মিয়া বলেন, ১২ টাকা কেজি দরে প্রায় ১৮ হাজার টাকায় তিনি বইগুলো কিনেছেন। সবগুলো বইয়ের ওজন ৩৮ মণ। তিনি এই বইগুলো হকারের মাধ্যমে নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে কিনে এনেছেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোকাররম হোসেন বলেন, সরকারি যেকোনো জিনিস নিলাম ছাড়া বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। তবে সরকারি বই যদি ২০১৫ সালের আগেরও হয় সে ক্ষেত্রেও একটি কমিটির মাধ্যমে যথাযথ অনুমতি নিয়ে এসব বই বিক্রি করা দরকার ছিল।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাউছার বেগম বলেন, স্টোর রুম থেকে পুরোনো বই খাতা সরানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নীহার রঞ্জন চক্রবর্তীকে। কিন্তু বই বিক্রি সম্পর্কে আমি অবগত নই। তবে বিদ্যালয়ের শিক্ষক নীহার রঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ ছাড়া আমি বই বিক্রি করব সেটি কি কেউ বিশ্বাস করবে? নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মাসুম বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বইয়ের বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল (আজ) কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
"